নিজস্ব প্রতিবেদন— যে কোনও সংস্থার কর্মীদের সপ্তাহে কাজ করতে হবে চারদিন। ছুটি পাবেন তিন দিন। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন আভাস দিয়েছেন এমনই। বহু দেশের বহু ইন্ডাস্ট্রি—তে কর্মীরা সপ্তাহে দুদিন থুটি পান। তবে আমাদের দেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সপ্তাহে এক দিন করে ছুটি। ফলে কাজের বাইরে হাতে সময় কম। বছরের কোনও এক সময় জমানো ছুটি খরচ করে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন অনেকে। কিন্তু অনেক সময় অফিসের কাজ বাধ সাধে। ছুটি পেতে সমস্যা হয়। অথবা ঠিক সেই সময়ই হাতে কাজের চাপ বেড়ে যায়। ছুটি নিয়ে তৈরি হয় মহাসমস্যা। এদিকে মন ছুটে যায় ঘুরতে যাওয়ার জন্য। কিন্তু উপায় থাকে না। তবে নিউ জিল্যান্ডের বাসিন্দাদের হয়তো আর ছুটি নিয়ে কোনও সমস্যা থাকবে না। করোনা পরবর্তী সময় বদলে যাবে অনেক কিছুই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফেসবুক লাইভে নিজের মতামত জানিয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনের সময় বহু মানুষ ঘরে বসে কাজ করছেন। আর এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম— সংস্কৃতিতে অনেকেই খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। বাড়ি থেকে কাজ করলে সুবিধা অনেক। অসুবিধাও অবশ্য আছে বেশ কিছু। তা ছাড়া সমাজের সব ক্ষেত্রের কর্মীদের আবার বাড়ি থেকে কাজ করার সুযোগ নেই। বিশেষ করে আপতকালীন সেবার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা। তবে জেসিন্ডা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সপ্তাহে তিনদিন ছুটি দেওয়ার পক্ষে তিনি। আর সেটা পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করার জন্য। ছুটি পেলে মানুষ ঘুরতে যাবে। ফলে পর্টন শিল্প কিছুটা অক্সিজেন পাবে। এমনিতেই করোনার জন্য পর্যটন শিল্প একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে।


আরও পড়ুন— শিক্ষা হয়েছে চিনের! বন্যপ্রাণীর ব্যবসা বন্ধ করতে এবার নতুন পরিকল্পনা


গত সপ্তাহে নিউ জিল্যান্ডে লকডাউন তুলে নেওয়া হয়েছে। সেখানে করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। নিউ জিল্যান্ডের অর্থনীতিতে পর্যটন থেকে আসে ১০ শতাংশ অর্থ। অর্থাত্ পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে করোনার জন্য গত কয়েক মাসে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন শিল্প। বিদেশি পর্যটকদের আসার সম্ভাবনা আগামী কয়েক মাসে কম। ফলে দেশের মানুষকেই ভ্রমণের সুযোগ দিতে হবে বলে মনে করছেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী।