সবুজ চোখের সেই `আফগান যুদ্ধের মোনালিসা` গ্রেফতার
বিশ্বের কাছে আফগান মুখ হিসেবেই পরিচিত। অসহায়ত্ব, উদ্বেগ কত কিছু লেখা ছিল সেই সবুজ রঙের দুই চোখে। ওর একটা ছবিই গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল। সেটা ছিল ১৯৮৫ সাল। আর ২০১৬ সালে! সেই আফগান মেয়েকেই প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার করল পাকিস্তান পুলিস। এভাবেই এক মহিলার জীবনের চাকা ঘুরল। পেশোয়ার থেকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) তাঁকে গ্রেফতার করে। শরবত বিবির বিরুদ্ধে জাল পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বের কাছে আফগান মুখ হিসেবেই পরিচিত। অসহায়ত্ব, উদ্বেগ কত কিছু লেখা ছিল সেই সবুজ রঙের দুই চোখে। ওর একটা ছবিই গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল। সেটা ছিল ১৯৮৫ সাল। আর ২০১৬ সালে! সেই আফগান মেয়েকেই প্রতারণার দায়ে গ্রেফতার করল পাকিস্তান পুলিস। এভাবেই এক মহিলার জীবনের চাকা ঘুরল। পেশোয়ার থেকে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) তাঁকে গ্রেফতার করে। শরবত বিবির বিরুদ্ধে জাল পরিচয়পত্র রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন- এখন দুনিয়ার সবচেয়ে চর্চিত মডেল
এক পাকিস্তানি ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, কম্পিউটারের মাধ্যমে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার অভিযোগে শরবত বিবিকে গ্রেফচার করা হয়েছে। তাঁর ঘর থেকে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান দুই দেশেরই নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করা জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- মেয়েকে খুন করা বাবার মৃত্যুদণ্ড পাকিস্তানে
১৯৮৫ সালে রাশিয়ার সামরিক দখলদারির বিরুদ্ধে আফগান মুজাহিদদের লড়াইয়ের সময় আফগানিস্তানের এক শরণার্থী শিবিরে শরবত গুলা নামের ওই কিশোরীর ছবি তুলেছিলেন স্টিভ ম্যাককারি। জ্বলজ্বলে সবুজ চোখে যেন সারা দুনিয়ার মানুষের চোখে চোখ রেখে কথা বলছিল ওই কিশোরী। 'সবুজ চোখের আফগান মেয়ে' হিসেবে দুনিয়ার মানুষের মুখে মুখে ফিরতে থাকে শরবত গুলার ছবির কথা। তখন শরবতের বয়স ছিল ১২। তারপর আর শরবতের খোঁজ মেলেনি। শরবত গুলাকে আবার খুঁজে পেতে ১৭ বছর লেগেছিল। ২০০২ সালে আফগানিস্তানের এক প্রত্যন্ত গ্রামে পাওয়া যায় তাঁকে। শরবত গুলা তত দিনে এক বেকারি শ্রমিককে বিয়ে করেছেন। তিন মেয়ে আর স্বামীকে নিয়ে ওই গ্রামেই থাকতেন তিনি।
পরবর্তীকালে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে তাঁর জীবন সংগ্রাম নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করে। তাঁকে বলা হতো 'আফগান যুদ্ধের মোনালিসা' (মোনালিসা অব আফগান ওয়ার)’।