নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও এক বার রাশিয়া কাশ্মীর নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল। জানিয়ে দিল, ভারতের ঘরোয়া বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নাক গলানো উচিত নয়। যেখানে ফের কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্র সঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে লিখিত অভিযোগ জমা দিল পাকিস্তান। এর আগে ১৬ অগস্ট রাষ্ট্রসঙ্ঘে বৈঠক ডেকেও তেমন ফল পায়নি পাকিস্তান। ভারতে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত রোমান বাবুশকিন জানান, রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ‘অনিশ্চিত’ অবস্থানে ছিল রাশিয়া। ঘরোয়া বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার পক্ষপাতী নয় বলে রাশিয়া জানায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


উল্লেখ্য, বাবুশকিনের মন্তব্যে স্পষ্ট, রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওই বৈঠকে ভারতের পাশেই দাঁড়িয়ে রাশিয়া। রুদ্ধদ্বার বৈঠকে চূড়ান্ত ফয়সলা প্রকাশ করা হয়নি রাষ্ট্র সঙ্ঘের তরফে। তবে, রাশিয়ার পাশাপাশি আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনও ভারতের হয়েই সওয়াল করেছে বলে জানা যাচ্ছে। রাষ্ট্র সঙ্ঘের রাশিয়ার প্রতিনিধি ডিমিত্রি পলিয়ানস্কি এক টুইটে জানিয়েছিলেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক সহজ হওয়ার পক্ষে বরাবর প্রচার চালিয়েছে রাশিয়া। ১৯৭২ সালে সিমলা চুক্তি এবং ১৯৯৯ সালে লাহোর ঘোষণা অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যা মেটানো প্রয়োজন।


আরও পড়ুন- রাহুলের ‘কাঁচা বুদ্ধির’ জন্য ভুগতে হচ্ছে কংগ্রেসকে, কটাক্ষ নাকভির


উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে তত্কালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং পাক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো সিমলা চুক্তি করেন। ১৯৯৯ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ী কাশ্মীর নিয়ে লাহোর ঘোষণা স্বাক্ষর করেন। এই দুই চুক্তিতেই কাশ্মীর সমস্যায় দ্বিপাক্ষিক আলোচনা স্থান পেয়েছে। তবে, ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কাশ্মীর নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদ। এতে ইমরান খান কূটনৈতিক সাফল্য দাবি করলেও, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে আন্তর্জাতিক মহলে আরও কোণঠাসা হতে হয়েছে কাপ্তান ইমরানকে।