নিজস্ব প্রতিবেদন: চলে গেলেন ১৯৯৩-এর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয়ী মার্কিন কৃষ্ণাঙ্গ লেখিকা টনি মরিসন। সোমবার রাতে নিউ ইয়র্কের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা সাহিত্যিক হিসাবে তিনিই প্রথম সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। ১৯৩১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আমেরিকার ওহায়োর এক আফ্রিকান-মার্কিন পরিবারে জন্ম হয়েছিল টনি মরিসনের। তাঁর বাবা-মা’র দেওয়া নাম অবশ্য ক্লো আর্ডেলিয়া ওফর্ড। কৈশোরে ক্যাথলিক ধর্ম গ্রহণ করার সময়ে তাঁর নাম বদলে ‘অ্যান্টনি’ রাখা হয়। এই ‘অ্যান্টনি’ নামই পরবর্তীকালে ছোট হয়ে ‘টনি’ হয়ে গিয়েছিল। ১৯৫৮ সালে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষার পাঠ নেওয়ার সময় তাঁর বিয়ে হয় স্থপতিবিদ হ্যারল্ড মরিসনের সঙ্গে। এর পর থেকেই তিনি টনি মরিসন নামেই পরিচিত।


আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে ধাক্কা দিয়ে ৩৭০ ধারা বিলোপে মোদীর প্রশংসা সংযুক্ত আরব আমিরশাহির



এই নামেই প্রকাশিত হয়েছিল তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ব্লুয়েস্ট আই’। সারা জীবনে মোট ১১টি উপন্যাস সৃষ্টি হয়েছে টনি মরিসনের কলম থেকে। তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসটির নাম ‘বিলাভেড’। এই উপন্যাসটির জন্য ১৯৮৮ সালে পুলিৎজার পুরষ্কার পান টনি। এ ছাড়া মার্কিন স্কুলপাঠ্যে তাঁর একাধিক ছোট গল্প, প্রবন্ধ জায়গা পেয়েছে। বর্ণবিদ্বেষ, ভেদাভেদের গণ্ডি পেরিয়ে তাঁর লেখায় বার বার ফুটে উঠেছে মানবিকতার বিভিন্ন দিক। ২০০০ সালে ‘ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডেল’-এ সম্মানিত করা হয় তাঁকে। ২০১২ সালে তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘মেডেল অব ফ্রিডম’-এ সম্মানিত করেন টনি মরিসনকে। তিনি চলে গেলেও অমানবিক ভেদাভেদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই অব্যহত থাকবে টনি মরিসনের সৃষ্ট একাধিক সাহিত্যের মাধ্যমে।