নিজস্ব প্রতিবেদন: বোতাম ছুঁলেই বেরিয়ে যাবে- কোরিয় উপকূলে এই মুহূর্তে ঠিক এমনই পরিস্থিতি। উত্তর কোরিয়ার হুমকি, যে কোনও সময় বেধে যেতে পারে পারমাণবিক যুদ্ধ। উত্তর কোরিয়ার দাবি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে আত্মরক্ষার অধিকার তাদের অবশ্যই রয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাষ্ট্রসংঘের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ কমিটিতে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি কিম ইন-রিয়ংয়ের দাবি, উত্তর কোরিয়াই বিশ্বের একমাত্র দেশ যারা ১৯৭০ থেকে নাগাড়ে পারমাণবিক হুমকির মুখে রয়েছে।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে হুমকি-পাল্টা হুমকির পর্ব চলছে কয়েক মাস ধরে। ডোনাল্ড ট্রাম্প রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সুর আরও চড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেই বিতর্কে সাম্প্রতিক সংযোজন ঘটিয়ে মার্কিন বিদেশ সচিব রেক্স টিলারসন বলেন, 'প্রথম বোমা পড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা সকল প্রকার কূটনৈতিক প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব। অর্থাত্ চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোলা রাখতে চান তারা। এরপরই তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দু'দেশের মধ্যে চাপ কমানোর জন্য কূটনৈতিক প্রয়াস চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন।


মার্কিন শীর্ষ স্তরের এই কথাতে চিঁড়ে ভিজছে না কিম প্রশাসনের। উলটে ট্রাম্পের দেওয়ার হুমকির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে তারা। দিন কয়েক আগেই 'উত্তর কোরিয়াকে উড়িয়ে দিতে দু'বার ভাবব না' বলে হুমকি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অশঙ্কা অনুযায়ী 'যুদ্ধ পিপাসু' ট্রাম্প বাহিনীর হামলার মোকাবিলায় দেশবাসীকে সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে ডাক দিয়েছে কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি।


অন্য দিকে, উত্তর কোরিয়ার লাগাতার হুমকিই পরিস্থিতি আরও গরম করে দিচ্ছে দাবি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে যে পিয়ংইয়ং আন্তর্দেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা বন্ধ না করলে তাদের কূটনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করার দিকে অগ্রসর হবে ওয়াশিংটন। আর এরই মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে পরোক্ষে উত্তর কোরিয়া আবারও আঘাত হানার ইঙ্গিত দিল বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।