নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্ভেদ্য দেশে গোপন রহস্য ফাঁস! শোনা যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-উন তাঁর 'ডান হাত' ছেঁটে ফেলে দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার সেকন্ড ইন কম্যান্ড ভাইস মার্শাল হোয়াং পিয়ং-সো-কে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনিই ছিলেন কিম জং-উনের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ এবং বিশ্বাসযোগ্য পরামর্শদাতা তথা 'কিমের ডান হাত'। হোয়াং-র পাশাপাশি আরও বেশ কয়েক জন উচ্চ পদস্থ সেনা অফিসারকেও শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়ান্দা সংস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- আর্ন্তজাতিক ন্যায়বিচার আদালতে বিচারপতি পদে ফের নির্বাচিত হলেন দলবীর ভাণ্ডারী


সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে খবর, প্রতিবেশি রাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে সিওয়লের রাজনীতিকদের মধ্য। তাঁদের দাবি, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর সবচেয়ে প্রভাবশালী অফিসারদের কড়া শাস্তি দিয়েছেন কিম। তবে সেই শাস্তি কী ধরনের তা এখনও জানা যায়নি। দক্ষিণ কোরিয়ার গুপ্তচর সংস্থা জানাচ্ছে এইসব অফিসারদের হয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অথবা প্রত্যন্ত এলাকায় নির্বাসিত করা হয়েছে। কিন্তু 'মৃত্যুদণ্ড'-র মতো কোনও শব্দ ব্যবহার করেনি ওই গোয়েন্দা সংস্থা।



কিমের মিলিটারিতে এই রদবদল যদি হয়ে থাকে, তাতে দক্ষিণ কোরয়ার লাভ কী? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, হোয়াং পিয়ং-সো ছিলেন প্রেসিডেন্ট কিমের 'ডান হাত'। অর্থাত্ কিমের যদি দুর্ঘটনাবশত কিছু হয়ে যায়, তাহলে সব ক্ষমতা নিজের দখলে রাখার স্পর্ধা রয়েছে হোয়াংয়ের। ২০১১-তে কিমের বাবা তথা উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং-ইল মারা যাওয়ার পর কিমের একমাত্র পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেছেন হোয়াং। এক দশকের বেশি কিমের সঙ্গে থেকেছেন এই বিস্বস্ত অনুচর। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কিম সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য হোয়াংয়ের নখদর্পনে। ২০১৪ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার যোগসূত্র হিসাবে তিনিই কাজ করেছেন। এইজন্য হোয়াংকে প্রেসিডেন্টের 'গেটকিপার'ও বলা হয়ে থাকে।



হোয়াং-র সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রী কিম উন-হং-কেও সরানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। ২০১২ থেকে জেনারেল উন-হং এই পদে আসীন ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়া জানাচ্ছে, নিরাপত্তা মন্ত্রকের ভয়াবহ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন উন-হং।


আরও পড়ুন- সেনা অভ্যুত্থানের পর নিজের দল থেকেই বিতাড়িত মুগাবে, উত্সবের মেজাজে জিম্বাবয়ে


দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দাদের মতে, কিমের বিরুদ্ধে চোখ তুলে কথা বলা মানেই মৃত্যুদণ্ড। এর আগে বেশ কয়েক জন অফিসারকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কিম, এমনটাই জানা যায়। কিম তার ক্যাবিনেটের শিক্ষা বিষয়ক ভাইস প্রিমিয়ার কিম ইয়ং-জিনকেও হত্যা করেছেন বলে খবর। এমনকী ২০১৩-তে নিজের কাকা জ্যাং সং-তাহেককেও মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে কিম। সেক্ষেত্রে হোয়াংদের শেষ পরিণতি যে সুখকর হবে না, সে বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত গোয়েন্দারা।