নিজস্ব প্রতিবেদন: রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু ঠিক আগে বিপাকে বাংলাদেশের প্রশাসন। জোর করে তাদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হতে পারে এই আশঙ্কায় শিবির ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বহু রোহিঙ্গা। পরিস্থিতি এমনই যে ১৫ নভেম্বর থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় স্থানীয় প্রশাসন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্রমশ গভীর হচ্ছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সঙ্কট। তেকনাফ ও বালুখালির শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের দাবি, বাংলাদেশ তাদের রাখাইনে ফেরাতে তত্পর হলেও মায়ানমারের তরফে সেখানকার নাগরিকত্ব ও বাসস্থানের ব্যাপারে কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। 


এরই মধ্যে ৩২ জন রোহিঙ্গার একটি তালিকা মায়ানমারের হাতে তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ১৫ নভেম্বর বালুখালি ঘাট দিয়ে তাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর কথা। এরই মধ্যে ক্যাম্প থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছেন তালিকায় থাকা একাধিক রোহিঙ্গা। 


ফুটপাথ ধসে মাটির নীচে ঢুকে গেলেন মহিলা, চিন থেকে এল চাঞ্চল্যকর ভিডিয়ো


ওদিকে রোহিঙ্গা শিবিরে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। যদিও প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে চাননি তাঁরা। বাসিন্দাদের দাবি, মায়ানমারে ফেরত যেতে রাজি হলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়ে গিয়েছে একদল দুষ্কৃতী। 



বাংলাদেশের প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে রোহিঙ্গারা। তবে সেসবে ভ্রূক্ষেপ না করে আরও ২২ হাজার রোহিঙ্গার নাম মায়ানমারের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। 


গত বছর অগাস্টে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সেদেশের নিরাপত্তাবাহিনী। এর পরই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে শুরু করেন রোহিঙ্গারা। বর্তমানে প্রায় ১১ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন এলাকায় শিবির করে রয়েছেন।