নুসরত হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলা-সহ ১৬ জন দোষীকে
২৮ মে তদন্ত শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ৮৬৯ পাতার চার্জশিট দাখিল করে বাংলাদেশের পুলিস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নুসরত জাহান হত্যা মামলায় মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজউদদৌলা-সহ ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার বেলায় বিচারক মহম্মদ মানুনুর রশিদ নুসরত হত্যা মামলায় ১৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। রায় পড়তে সময় লাগে ১২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ড। রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন দোষীরা।
২৮ মে তদন্ত শেষে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ-সহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে ৮৬৯ পাতার চার্জশিট দাখিল করে বাংলাদেশের পুলিস ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। ১৬ জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে ফেনির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। তারা হল- সোনাগাজি ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলা, সোনাগাজি উপজেলা আওয়ামি লিগের তৎকালীন সভাপতি রুহুল আমিন, সোনাগাজি পুরসভার কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম, মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আবদুল কাদের, আফসারউদ্দিন, মাদ্রাসার ছাত্র নুরউদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামিম, সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের, জাবেদ হোসেন, কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপি, আবদুর রহিম শরিফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন মামুন, মোহাম্মদ শামিম ও মহিউদ্দিন শাকিল।
চলতি বছর বাংলাদেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল সোনাগাজির ইসলামিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরত জাহানের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। গত ২৭ মার্চ সোনাগাজির ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে শিক্ষক সিরাজউদদৌলা। তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নুসরতের মা। পরে ৬ এপ্রিল নুসরতের আলেম পরীক্ষা চলাকালীন নুসরতকে কৌশলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে যায় সহপাঠী উম্মে সুলতানা পপি। সেখানে তাকে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেয় চার ব্যক্তি। রাজি হয়নি নুসরত। তার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সোনাগাজি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ফেনির গাজি জেনারেল হাসপাতালে। মৃত্যুর সঙ্গে ৫ দিন লড়াই করে মৃত্যু হয় নুসরতের। গোটা দেশ গর্জে ওঠে। হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সিরাজউদদৌলা-সহ ১২ জন দোষী।
আরও পড়ুন- জেজেপি-কে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে হরিয়ানায় 'কর্ণাটক মডেলে ক্ষমতায় কংগ্রেস!