সৌরভ পাল: 'ফিদেল কাস্ত্রো ইস ডেড', কিউবার রাষ্ট্রনায়কের মৃত্যুতে মার্কিন মুলুকের নব নির্বাচিত 'ফ্যাসিস্ট' প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল এটাই। আর হবে নাই বা কেন, আমেরিকার নাকের ডগায় থাকা কিউবার 'অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার দামালপনা'কে কোনও দিনই সহ্য করতে পারেননি মার্কিন দেশের কোনও রাষ্ট্রপ্রধানই। গোটা বিশ্বের দখল নেওয়া মার্কিন দাঁত বিদ্ধ করতে পারেনি ১ কোটি ১০ লক্ষের কিউবার মাটিকে, কারণ কিউবার প্রাচীর ফিদেল কাস্ত্রো। ৯০ বসন্ত পেরিয়ে যখন চিরতরে ঘুমিয়ে পড়লেন ফিদেল, তখন যেন ঘুম ভাঙল আমেরিকার। কিউবায় আধিপত্য কায়েমের যে স্বপ্ন এতদিন ধরে মাঠে মারা যাচ্ছিল, এবার বোধহয় তা সফল করা যাবে, এই চিন্তাই এখন ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে নতুন করে, বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের একাংশ। ধনকুবের ট্রাম্প প্রোলেতারিয়েত ফিদেলের মৃত্যুতে উল্লাস করলেন 'স্বৈরাচারীর মৃত্যু' বলে। "আজ পৃথিবী একজন নিষ্ঠুর স্বৈরাচারীর মৃত্যু দেখেছে, যে দেশের মানুষকে'ই ছয় দশক দাবিয়ে রেখেছিল। এবার আশা করছি, কিউবা সত্যিই স্বাধীন হবে", মত ট্রাম্পের। আর ট্রাম্পের এই উক্তি শুনে হয়ত সদ্য ইতিহাস হওয়া কাস্ত্রো দাড়ি গোঁফের ফাঁক দিয়ে সেই আজন্ম রোম্যান্টিক এবং তীব্র বৈপ্লবিক হাসিটি হাসছেন। কারণ, ট্রাম্পের মত মানুষ ফিদেলের গুণগান গাইলে দুজনেরই শ্রেণি চরিত্র নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে যায়। ফলে ট্রাম্পের করা তীব্র সমালোচনা আরও তীক্ষ্ণ করে কমরেড কাস্ত্রোর পরিচয়-তিনি আক্ষরিক অর্থেই একনায়ক, 'সর্বাহারার একনায়ক'। আপনি ঠিক বলেছেন ট্রাম্প।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 



 


অবশ্য, মার্কিন দেশের 'প্রাক্তন' প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলছেন অন্য কথা। "কাস্ত্রো কী ছিলেন, তা বিচার করবে ইতিহাস"। আরও পড়ুন- ফিদেলের মৃত্যুতে এই দেশ মাতল উল্লাসে, রাস্তায় হল বিয়ার পার্টি