নিজস্ব প্রতিবেদন- তাঁরও মৃত্যু হয়েছিল একইভাবে। জর্জ ফ্লয়েডের মতোই সেও নিশ্বাস নিতে না পেরে মারা গিয়েছিল। এক পুলিসকর্মী তাঁর গলায় পা দিয়ে ছিলেন অনেকক্ষণ ধরে। যার জেরে দম আটকে গিয়েছিল ডেরিক স্কটের। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু অনেক গোপন ঘটনাই যেন নতুন করে বের করছে। সারা বিশ্বে অন্যায়, অবিচার, লাঞ্ছনার শিকার কৃষ্ণাঙ্গরা। আমেরিকার মতো উন্নত দেশেও স্রেফ গায়ের রঙের বিচারে মানুষের উপর অত্যাচার করা হয়। ২০২০ সালে দাঁড়িয়ে এই মধ্যযুগীর চিন্তাধারার অবসান চাইছে গোটা বিশ্ব। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এত সহজে কি বছরের পর বছর ধরে চলা এই সমস্যার সমাধান হবে! মানুষ মানুষকে নেহাতই চামড়ার রঙের নিরিখে বিচার করা বন্ধ করবে! জর্জ ফ্লয়েডের অন্তেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবুও আমেরিকায় বিক্ষোভের আগুনে জল পড়েনি। রোজ কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ চলছে। আর এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মাঝে আরেক কৃষ্ণাঙ্গের পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৯ সালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালী মারা গিয়েছিলেন ডেরিক স্কট নামের ৪২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু না হলে ডেরেকের মারা যাওয়ার খবরও হয়তো কখনও প্রকাশ পেত না। তিনিও মারা গেলেন একইভাবে। পুলিসের অত্যাচারে। কলাহোমা সিটি পুলিশের প্রকাশিত সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন আমেরিকার মানুষ। গোটা ভিডিয়ো শুট করা হয়েছে একজন পুলিস কর্মীর বডি ক্যামেরায়। পুলিস হয়তো নিজের বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিল। কিন্তু এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেটাই বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে। জর্জের পর এবার ডেরিকের মৃত্যু দেখে নতুন করে আগুন জ্বলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। 


আরও পড়ুন-  বেঁচে থাকতে সম্মান পেলেন না! ঘোড়ায় চেপে কবরস্থানে ফ্লয়েড, মায়ের পাশে চিরনিদ্রায়



জর্জ ফ্লয়েডের মতোই দম আটকে মারা যান ডেরিক। একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিসকর্মী তাঁর গলায় পা দিয়ে চেপে রেখেছিলেন। ডেরিক বারবার বলতে থাকেন যে তিনি নিশ্বাস নিতে পারছেন না। পুলিসকর্মী তাঁর কথা কানে তোলেননি। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে যান ডেরিক। আগ্নেয়াস্ত সঙ্গে রাখার দায়ে ডেরিককে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল পুলিস। কিন্তু ডেরিক পালানোর চেষ্টা করেন। এর পরই পুলিস তাঁকে আটক করে। ঘটনাস্থলেই এক পুলিসকর্মী তাঁর গলায় হাঁটু দিয়ে বসে পড়েন। প্রাথমিক চিকিতসার পর তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।