ওয়েব ডেস্ক: কিছুটা অবাক করেই হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউজের ভবিষ্যত্‍ মালিকানা এনেছেন নিজের দখলে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই বলেছিলেন তিনি সবার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু প্রতিক্রিয়াটা এমন হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে উত্তপ্ত আমেরিকা। হাজার হাজার মানুষ গোটা আমেরিকাজুড়ে বিক্ষোভে সামিল। আগুন জ্বলছে, গুলি চলছে, চলছে গ্রেফতারিও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফল প্রকাশের পর থেকেই ফুটতে শুরু করল আমেরিকা। ধর্মান্ধতা, বর্ণবৈষম্য, অভিভাবসন এবং মুসলিমদের নিয়ে ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানের বিরুদ্ধে গলা ফাটাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মার্কিন নাগরিকেরা সমবেত হন প্রধান প্রধান শহরগুলিতে। নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া, বস্টন, ক্যালিফোর্নিয়া, কলোরাডো, শিয়াটেল সহ অন্যান্য শহরে ক্ষোভের আগুন জ্বলে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে সড়ক, জাতীয় সড়ক দিয়ে হাঁটতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা, যানবাহনকে পরোয়া না করেই। ট্রাম্পের প্রচারের সদর কার্যালয়ের চারপাশে চলে বিক্ষোভ। ওই টাওয়ার সংলগ্ন সব রাস্তা স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বিক্ষোভে সামিল হয় স্কুল পড়ুয়ারাও। ফেসবুকেও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে।


আরও পড়ুন- জয়ের পরই 'মুসলিম ব্যান' শব্দ তুলে দেওয়া হল ট্রাম্পের ওয়েবসাইট থেকে


শিয়াটেলে অবস্থান বিক্ষোভের কাছেই গুলি চলে। এক বন্দুকবাজের গুলিতে আহত হন পাঁচ জন। কে বা কারা কী কারণে গুলি চালাল পরিষ্কার নয়। তবে পুলিস বলছে  বিক্ষোভের সঙ্গে এই গুলি চালানোর ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই।


ওকল্যান্ড এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় রাস্তার মাঝখানে আগুন জ্বেলে তার চারপাশে গোল করে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।  লস এঞ্জেলেসে কুশপুতুল দাহ করায় গ্রেফতার করা হয় বিক্ষোভকারীদের। ম্যানিলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি জ্বালান বিক্ষোভকারীরা।


হোয়াইট হাউজের বাইরেও জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। সন্ধে নামলে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানান তাঁরা।


শিকাগোয় ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ও টাওয়ারের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন প্রতিবাদীরা। ম্যানহাটনে ট্রাম্প টাওয়ারে যদিও আগে থেকেই কড়া পাহারার বন্দোবস্ত করা হয়। এখানেই থাকেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।


বিক্ষোভকারীদের কেউ বলছেন, ট্রাম্পের জয়ের পর থেকে তাঁর মন খারাপ। কেউ বলছেন মানুষটা রাতারাতি বদলে তো যাবেন না। কেউ বলছেন ট্রাম্পের না আছে ক্লিনটনের সমান অভিজ্ঞতা না আছে মেধা। কেউ আবার বলছেন ট্রাম্প আমাদের প্রেসিডেন্টই নন।



নিউ ইয়র্কে  ল্যান্ডমার্ক ট্রাম্প টাওয়ারের বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন বিখ্যাত পপ স্টার লেডি গাগা। কালো পোষাকে LOVE TRUMPS HATE স্লোগান হাতে প্রতিবাদ দেখান ।  হিলারি ক্লিনটনের সমর্থক গাগা। তিনি যে পরাজয়ের পরেও ক্লিনটনের পাশেই আছেন তার প্রমাণ হিসেবেই তাঁর এই প্রতিবাদ। গাগা বলেছেন "" আমি ভদ্র দেশে থাকতে চাই। LOVE TRUMPS HATE। ট্রাম্প আমাদের বেপরোয়াভাবে ভাগ করেছেন। এখন নিজেরাই নিজেদের খেয়াল রাখুন।  ''


বিক্ষোভের আঁচ ছড়ায় লন্ডনেও। মার্কিন দূতাবাসের সামনে ট্রাম্পের বর্ষবৈষম্য নীতির বিরোধিতায় প্রতিবাদে সামিল হন বিক্ষোভকারীরা।