করোনাকে হারিয়ে বাড়ি ফিরল বিশ্বের সব থেকে কমবয়সী আক্রান্ত
সারা বিশ্বে ১ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। আক্রান্ত ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ। তবে এত খারাপ খবরের মাঝে ভাল সংবাদও রয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— হাহাকারের মাঝে আশার আলো। মৃত্যুর মাঝে জীবনের জয়গান। করোনার আক্রমণে রোজই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে রোজ। প্রায় প্রতিদিন সকাল থেকেই মৃত্যুর খবরে বাড়ছে উদ্বেগ, আশঙ্কা। এই পৃথিবী আদৌ আর সুস্থ হবে তো! এমন সময় এক টুকরো স্বস্তির খবর। এর আগে ইতালিতে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছেন ১০৩ বছরের বৃদ্ধা। তিনিই ছিলেন করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জেতা সব থেকে বেশি বয়সী মানুষ। এবার সব থেকে কমবয়সী আক্রান্ত প্রাণঘাতী ভাইরাসকে হারিয়ে বাড়ি ফিরল।
সারা বিশ্বে ১ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে। আক্রান্ত ২৬ লাখেরও বেশি মানুষ। তবে এত খারাপ খবরের মাঝে ভাল সংবাদও রয়েছে। করোনাকে হারাল এক মাসের শিশু। জন্মের পরই করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল থাইল্যান্ডের একটি শিশু। তাকে বাঁচানো যাবে কিনা তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল চিকৎসকদের মধ্যেও। কিন্তু বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে এবার করোনাকে হারিয়ে ওই এক মাসের শিশু বাড়ি ফিরেছে। শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ওই বাচ্চাটির চিকিৎসা করেছেন তিনি জানিয়েছেন, করোনার হাত থেকে মুক্ত করতে শিশুটির জন্য তিনি চারটি অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের ব্যবহার করেছিলেন। তাতেই কাজ হয়েছে।
আরও পড়ুন— আর ভুল পদক্ষেপ নয়, বহু দিন ধরে থাকবে এই ভাইরাস, আশঙ্কা WHO-র
ব্যাংককের বামরাসনারাদুরা সংক্রামক রোগ ইনস্টিটিউট ওই চিকিৎসকের নাম বিশাল মুলাসারত। তিনি বলেছেন, বাচ্চাটিকে ১০ দিন ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। আমরা প্রতিদিন ওর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতাম। চার—পাঁচ দিন পর থেকে ওর মধ্যে ধীরে ধীরে সুস্থ হওয়ার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত দুহাজার ৮২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ৪৯ জন মারা গিয়েছেন। তবে থাইল্যান্ডে প্রায় ৮৪ শতাংশ রোগী এখন সুস্থ। ভাল খবর এটাই।