জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে একটি খোলাচিঠি প্রকাশ করল বিভিন্ন দেশের মানব-উন্নয়নকাজে জড়িত সংস্থা। সেই চিঠিতে খেতে না পেয়ে মৃত্যু ঘটার ভয়াবহ পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। যা দেখে আঁতকে উঠেছে বিশ্ব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন সামনে রেখে মঙ্গলবার বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে একটি খোলাচিঠি প্রকাশ করেছে ৭৫টি দেশের মানব উন্নয়নকাজে জড়িত ২৩৮টি এনজিও। তালিকায় রয়েছে 'অক্সফাম', 'সেভ দ্য চিলড্রেন', 'প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালে'র মতো বিশ্ববিখ্যাত সংস্থাও। একদিকে করোনা অতিমারীর জের, অন্যদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ; সব মিলিয়ে বিশ্ব-অর্থনীতি বেশ চাপের মুখে পড়েছে। যা থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে বিশ্বব্যাপী মন্দার। আর যার ফলে বিশ্বের খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলও বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে। সরবরাহ কমে আসায় স্বাভাবিক ভাবে দামও বেড়েছে খাদ্যপণ্যের। এই পরিস্থিতিতে দেশে দেশে ক্ষুধা ও দারিদ্র্য আগের তুলনায় বেড়েছে। আর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। এই মুহূর্তে বিশ্বে প্রতি ৪ সেকেন্ডে মৃত্যু হচ্ছে একজন ক্ষুধার্ত মানুষের! এই ভয়ংকর পরিস্থিতিকে ঠেকাতে এবং অতি সত্বর ক্ষুধামুক্ত এক পৃথিবী গড়ে তুলতে যাতে দ্রুত যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয় এজন্য বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের কাছে আবেদন জানাল ওই সব সংস্থা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: World Peace Day 2022: সব ধরনের বিদ্বেষের দিন শেষ করে এবার শান্তির ললিত বাণীতে কান পাতুক বিশ্ব


না খেতে পেয়ে খিদের জ্বালায় প্রাণ হারানো মানুষগুলির সংখ্যা উল্লেখ করে ওই খোলাচিঠিতে সংস্থাগুলি সতর্ক করেছে, বিশ্বে ক্ষুধা-পরিস্থিতি ক্রমশ লাগামছাড়া হচ্ছে। যাতে লাগাম টানা এখনই জরুরি। তারা জানিয়েছে, এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ৩৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ চরম ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছে। এই সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। বিশ্বে চরম ক্ষুধা নিয়ে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে ১৯ হাজার ৭০০ মানুষ। সেই হিসাবে, প্রতি চার সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। সংস্থাগুলি বলেছে, এই একুশ শতকে পৌঁছে বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের দুর্ভিক্ষ দেখা দিক, বিশ্বনেতারা নিশ্চয়ই এমন চাইবেন না। তাই ক্ষুধামুক্ত বিশ্ব গড়তে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। সব চেয়ে বড় কথা, বিশ্বনেতাদের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও দুর্ভিক্ষ-পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে সোমালিয়া! এ ছাড়াও বিশ্ব জুড়ে ৪৫টি দেশের ৫ কোটি মানুষ অনাহারের আতঙ্কের মুখে রয়েছেন! খোলাচিঠিটিতে দুঃখ করে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কৃষিখাত আধুনিক হয়েছে, ফসল উৎপাদন ও কাটার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর পরেও একুশ শতকে এসে আমরা খাদ্যসংকটে ভুগছি এবং বিভিন্ন জায়গায় দুর্ভিক্ষ-পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। এ খুবই দুঃখজনক। বলা হয়েছে সংকটময় এই পরিস্থিতি একটি দেশ, একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল বা কোনও মহাদেশে সীমাবদ্ধ নয়, এ পুরো মানবতার সংকট।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)