তেল উত্পাদন কমানোর সিদ্ধান্ত ওপেক-র, বাড়ার আশঙ্কা জ্বালানির দাম
ওপেক-র এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরই এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ তেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ব বাজারে তেলের দর কোন পর্যায় পৌঁছবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: তেল উত্পাদন বৃদ্ধি জারি রাখায় এক ধাক্কায় ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলার থেকে নীচে নামে ৬০ ডলারে। যার প্রভাব দেখা গিয়েছিল ভারতের জ্বালানি তেলের উপর। অক্টোবরের পর থেকে ক্রমশ নামতে থাকে তেলের দর। আমজনতার মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটে। কিন্তু এই স্বস্তি বেশিদিন স্থায়ী হল না। শনিবার ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ওপেক গোষ্ঠীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তেল উত্পাদন কমাবে তারা। দিনে ১২ লক্ষ ব্যারেল তেল উত্পাদন কমানোর সর্বসম্মতিভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে সহযোগী দেশ রাশিয়া।
ওপেক-র এই সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসার পরই এক ধাক্কায় ৪ শতাংশ তেলের দাম বৃদ্ধি হয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ব বাজারে তেলের দর কোন পর্যায় পৌঁছবে সে বিষয়ে নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে, তাঁরা মনে করছেন সোমবার বাজার খুললে বোঝা যাবে কতটা প্রভাব পড়ছে ওপেক-র এই সিদ্ধান্ত। ওপেক অন্তর্ভুক্ত ১৫টি দেশের এই সিদ্ধান্তে আমেরিকা, ভারত সহ অন্যতম আমদানিকারী দেশগুলি জোর ধাক্কা খেতে চলেছে, বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুন- তেল উত্পাদন জারি রাখতে মোদীর পরামর্শ বিবেচনা করছে ওপেক
ভারত বিদেশ থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ তেল আমদানি করে। তার ২৫ শতাংশ তেল উত্পাদন কমাচ্ছে ওপেক। এর ফলে চাহিদার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তেলের দামও নজিরবিহীনভাবে বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অক্টোবরের পর ৩০ শতাংশ তেলের দাম কমে। ভোটের মুখে তেলের দামে লাগাম টানায় শাসক দল যে প্রশংসা কুড়াচ্ছিল, তাতেও জোর ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ওপেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৯ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত দিনে ১২ লক্ষ ব্যারেল তেল উত্পাদন হ্রাস করা হবে। ওপেক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি দিনে ৮ লক্ষ ব্যারেল এবং রাশিয়া-সহ অন্যান্য সহযোগী দেশগুলি ৪ লক্ষ ব্যারেল উত্পাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওপেক অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির দখলে রয়েছে বিশ্বের ৮২ শতাংশ তেল, ৭২ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস। উল্লেখ্য নরেন্দ্র মোদীর মতোই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও তেল উত্পাদন বৃদ্ধিতে ক্রমশ চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা কার্যত জল ঢেলে দিলেন আরব দেশগুলি।