ওয়েব ডেস্ক: ছেলেবেলায় টিনটিন পড়েছেন তো? এতটুকু আশা তো করাই যায়। কারণ, টিনটিন পড়েননি এমন মানুষ মনে হয় নেই। যিনি কোনও কমিকস পড়েননি, তিনিও অবশ্যই পড়েছেন। আসলে টিনটিন পড়ার জন্য নির্দিষ্ট কোনও বয়সের প্রয়োজন হয় না। যাক, টিনটিন তো পড়েছেন, কিন্তু জানেন কি কীভাবে জন্ম হল টিনটিনের?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোনালি ঢেউ খেলানো চুলের আকারে ক্ষুদে রিপোর্টার টিনটিন। আর তাঁর সঙ্গে সবসময় যাকে দেখা যায়, সে অবশ্যই মিষ্টি কিন্তু খুব দুষ্টু আর অশম্ভব প্রভুভক্ত কুকুর কুট্টুস। কোথাও আবার তার নাম স্নোয়ি। কখনও তাঁদের সঙ্গে থাকেন ক্যাপ্টেন হ্যাডক, ডিটেকটিভ রনসন-জনসন কিংবা ভুলো মনের কালা বিজ্ঞানী প্রফেসর ক্যালকুলাস। এই নিয়েই প্রধাণত টিনটিনের মজাদার সব অ্যাডভেঞ্চারের গল্প। যা পড়তে পড়তে আমার বিশ্বাস, আপনি বহুবার কল্পনায় নানা দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন টিনটিনের সঙ্গে। এ গল্পের মজাটাই এটা।


আমরা জানি যে টিনটিনের স্রষ্টা বেলজিয়ামের কার্টুনিস্ট হার্জ। তবে তাঁর আসল নাম জর্জেস রোমি। সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে যায় টিনটিনের একটার পর একটা গল্প। কিন্তু টিনটিনের অ্যাডভেঞ্চারাস কমিকস অন্য কমিকসের তুলনায় কীভাবে এত প্রিয় হয়ে উঠল সকলের কাছে?


হার্জ সংবাদপত্রে কাজ করতেন। তবে তিনি সাংবাদিক ছিলেন না। একদিন ওই পত্রিকার যিনি প্রধান তিনি হার্জকে সংবাদপত্রের জন্যই ছবি আঁকতে বলেন। হার্জও তাঁর মনের মতো একটা চরিত্রের ছবি আঁকেন। এখান থেকেই জন্ম হল টিনটিনের। হার্জ টিনটিনকে সাংবাদিকের রূপ দিলেন। যে নির্ভয়ে সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়ায়। সে এমন কিছু দুঃসাহসিক কাজ করে বেড়ায়, যা পড়তে পড়তে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে। এই কমিকসে সবচেয়ে যেটা আকর্ষনীয় সেটা ছোট্ট কুকুর কুট্টুস। তাঁর চেয়ে প্রভুভক্ত কুকুর বিশেষ দেখা যায় বা। তবে হার্জ টিনটিনের চরিত্রটাকে যতটা মন দিয়ে তৈরি করেছেন, তাঁর থেকে বেশি আকর্ষনীয় করে তৈরি করেছেন টিনটিনের পার্শ্ব চরিত্রগুলোকে। যেমন একগাল দাড়ি নিয়ে নাবিক ক্যাপ্টেন হ্যাডক। যে প্রচুর পরিমানে মদ খায়। দুই অকাজের ডিটেকডিভ রনসন আর জনসন। এক কালা বৃদ্ধ বিজ্ঞানী প্রফেসর ক্যালকুলাস। তবে হার্জ জানিয়েছিলেন যে তিনি এই চরিত্রগুলো বাস্তবের কিছু চরিত্রের আদলে তৈরি করেছিলেন।


টিনটিনকে নিয়ে মোট ২৪টা অ্যাডভেঞ্চারের গল্প লিখেছিলেন হার্জ। পাঠকদের কাছে শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত খুবই জনপ্রিয় প্রত্যেকটি গল্প। প্রত্যেকটি গল্পের প্রাণবন্ততাই টিনটিনের সাফল্যের আসল কারণ।