নিজস্ব প্রতিবেদন - ওসামা বিন লাদেন শহিদ! পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তেমনই বলেছেন। কুখ্যাত জঙ্গি নেতাকে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে নিকেশ করেছিল আমেরিকার নৌবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দল। কিন্তু ইমরানের চোখে লাদেনের সেই মৃত্যু শহিদের মর্যাদা পেয়েছে। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার প্রধান লাদেনের মৃত্যুতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছিল গোটা বিশ্ব। কিন্তু পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়তো এখনও আড়ালে-আবডালে লাদেনের শোকে চোখের জল ফেলেন! পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় লাদেনকে শহিদ বলে বসলেন ইমরান। তাঁর এমন দাবি ঘিরে এখন গোটা বিশ্বে আলোচনা চলছে। অনেকে বলছেন, মুখ ফস্কে বেরিয়েছে। কেউ কেউ আবার বলছেন, ইমরান খান যে দেশের প্রধানমন্ত্রী সেটা তো জঙ্গিদেরই ঘাঁটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- জঙ্গলেও থাবা বসিয়েছে করোনা, প্রাণ বাঁচাতে নতুন পথে আমাজনের আদিবাসীরা


২০০১ সালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে হামলার মূলচক্রী লাদেন হয়তো প্রথমবার বিশ্বের কোনও দেশে শহিদের আখ্যা পেলেন। না হলে একমাত্র জঙ্গি সংগঠনে তাঁর মতো কুখ্যাত উগ্রপন্থীরাই তাঁকে শহিদ বলে মনে করে। এদিন পার্লামেন্টে ইমরান বলেছেন, আমেরিকানরা অ্যাবোটাবাদে এসে লাদেনকে মেরে শহিদ করে দিয়েছিল। ওই খবরে আমরা খুবই বিব্রত বোধ করেছিলাম। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২রা মে অ্যাবোটাবাদের গ্যারিসন শহরে লাদেনকে নিকেশ করেছিল মার্কিন নৌসেনার সিল বাহিনী। দু'টো ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারে চেপে ২৩ জন মার্কিন সেনার একটি দল এসেছিল লাদেনকে শেষ করতে। সেই দলে ছিল। এছাড়া 'কায়রো' নামের একটি বেলজিয়ান মেলিনয় প্রজাতির কুকুরও ছিল দলে। ওই কুকুর লাদেনকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করেছিল।


রাতের অন্ধকারে অপারেশন শেষ করে ফিরেছিল মার্কিন বাহিনী। যদিও আজ পর্যন্ত লাদেনের মৃতদেহ কেউ দেখেনি। আমেরিকা লাদেনের মৃতদেহ দেখাবে না বলে জানিয়েছিল। তারাজ জানিয়েছিল লাদেনের মৃতদেহ কফিনে ভরে সমুদ্রের নিচে ফেলা হয়েছে।