নিজস্ব প্রতিবেদন- ''পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা আমাদের বড় সাফল্য। ভারতকে ঘরে ঢুকে মেরেছি। এই সাফল্য পাকিস্তানের আওয়ামের। এই সাফল্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর। এই সাফল্য আমাদের সরকারের। এই সাফল্য আমাদের সবার।'' পাকিস্তানের সংসদে দাঁড়িয়ে সদর্পে তিনি কথাগুলো বলেছিলেন। ভেবেছিলেন, এসব বলে ঘরের লোকের থেকে প্রশংসা কুড়িয় নেবেন। কিন্তু এমন কাপুরুষোচিত ও নিন্দনীয় হামলার কথা স্বীকার করে তাঁকে ও তাঁর দেশকে আন্তর্জাতিক মহলে কী কী সামলাতে হবে, তা বুঝতে পারেননি তিনি। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার কথা সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছিলেন ফওয়াদ চৌধুরী। কিন্তু রাতারাতি এবার তিনি বয়ান বদল করে ফেললেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফওয়াদ চৌধরির দাবি, তাঁর বয়ানের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে। নানা মহল থেকে চাপের মুখে পড়ে এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছেন পাক মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, ''পাকিস্তান কখনওই সন্ত্রাসে মদত দেয় না। আমরা সব সময় সন্ত্রাসদমনের চেষ্টা করি। নিরপরাধ কাউকে মেরে আমরা বীরত্ব জাহির করত চাই না। আমি পুলওয়ামার সিআরপিএফ কনভয়ে হামলার কথা সংসদে বলিনি। বলেছি অপারেশন স্যুইফ্ট রিসর্টের কথা। বালাকোটে ভারতীয় সেনা হামলা চালানোর পর আমরা এই অপারেশন করেছিলাম। আর সংসদে বলেছিলাম পুলওয়ামায় হামলার পর পাক সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছিল তার কথা।''


আরও পড়ুন-  শরণার্থী হয়ে গেল জঙ্গি! অসহায় মানুষের সাহায্য করতে গিয়ে এখন মহাবিপদে ফ্রান্স


এর আগে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, ওটা ভারতের অভ্যন্তরীন জঙ্গি সংগঠনের কাজ। যদিও ওই হামলার পর ভারত চুপ করে থাকেনি। ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে হামলা চালায় ভারত। তার পর ১লা মার্চ উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানকে মুক্তি দিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের সংসদে এক সাংসদ দাবি করেছিলেন, ভারতের আক্রমণের ভয়েই সেদিন অভিনন্দনকে মুক্তি দিয়েছিল পাকিস্তান।