ওয়েব ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত  পাকিস্তান। এবার জঙ্গি নিশানায় বিশ্ববিদ্যালয়। খাইবার পাখতুনখোয়ার বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষকসহ পঁচিশজনকে হত্যা করল জঙ্গিরা। সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চার জঙ্গির। হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-এ-তালিবান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সকাল সখন প্রায় সাড়ে নটা। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকেছিল খাইবার পাখতুনখোয়ার চারসাদ্দা।


আর সেই সুযোগ নিয়েই বাচা খান বিশ্ববিদ্যালয়ের পিছন দিক দিয়ে ঢুকে পড়ে চার  জঙ্গি।


বিশ্ববিদ্যালয়ে তখন চলছিল একটি কবিতা সম্মেলন। তিন হাজার ছাত্রছাত্রী আর ছশো ডেলিগেটস নিয়ে তখন সরগরম সেমিনার চত্বর।


কিছু বুঝে ওঠার আগেই নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। লুটিয়ে পড়েন একের পর এক ছাত্র ও শিক্ষক।


বুঝতে অসুবিধা হয়নি  শুরু হয়েছে জঙ্গি হামলা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর যায় পুলিসে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকে পাকসেনা।


সন্ত্রাসের কবলে পড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে জঙ্গিমুক্ত করতে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নামানো হয় কমান্ডোদের।


শুরু হয় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই।


সেনার গুলিতে লুটিয়ে পড়ে দুই জঙ্গি। ততক্ষণে হস্টেলের ছাদে উঠে গিয়েছে আরও দুই জঙ্গি।


কিন্তু, সেনার সামনে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি তারা। ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই গোটা বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলে পাকসেনা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল বেশ কয়েকজনকে পণবন্দি করেছে জঙ্গিরা। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই সেনার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় উদ্ধার করা হয়েছে সবাইকেই। একের পর এক দেহ বের করে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। গুরুতর আহতদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বেশিরভাগেরই বুলেট লেগেছে মাথায়। মোডাস অপারেন্ডি একদম স্পষ্ট। এক্সিকিউশন স্টাইল কিলিংয়ের পথটাই বেছে নিয়েছিল জঙ্গিরা।


 গোপন ডেরা থেকে সংবাদমাধ্যমে ফোন করে হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান। বিশ্বিদ্যালয়ে ঢুকেছিল তাদের চার আত্মঘাতী। ফোন করে দাবি করে তেহরিকের কমান্ডার উমর মনসুর। এবারই প্রথম নয়। পেশোয়ারে সেনা স্কুলে হামলার পিছনেও ছিল তেহরিক-ই-তালিবান। আবারও তারা নিশানা করল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেই।