নিজস্ব প্রতিবেদন: পুরোটাই আইওয়াশ! পুলওয়ামা কাণ্ডের জেরে আন্তর্জাতিক মহল প্রবল চাপে পড়ে সাত তাড়াতাড়ি পাক পঞ্জাবের ভাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ-এর সদর দফতরের দখল নেয় পাক সরকার। ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই তা অস্বীকার করল ইমরান খান সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-‘ভালোমানুষির মুখোশটা খুলে ফেলুন’, পুলওয়ামা হামলা নিয়ে ইমরানকে নিশানা ওয়েসির


শনিবার পাক সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল ভাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতরের সঙ্গে পুলওয়ামা হামলার কোনও যোগসাজস নেই। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি সংবাদমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় জানান, ‘পাক পঞ্জাব সরকার ভাওয়ালপুরের মাদ্রাসাতুল সাবির ও জামিয়া-ই-মসজিদ সুভানাল্লাহর দখল নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে। মাদ্রাসাতুল সাবির একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও সম্পর্ক নেই। ভারত এটিকে জইশের সদর দফতর বলে প্রচার চালাচ্ছে।‘


উল্লেখ্য, শুক্রবার পাকিস্তান ট্রিবিউনের একটি প্রতিবেদনে লেখা হয়, পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক টুইট করে জানিয়েছে পঞ্জাব সরকার ভাওয়ালপুরে মাদ্রাসাতুল সাবির ও জামা-ই-মসজিদের দখল নিয়েছে। পাশাপাশি ফাওয়াদ চৌধুরিও বলেন, ‘পঞ্জাব সরকার ভাওয়ালপুর জইশের সদর দফতরের দখল নিয়েছে। প্রসঙ্গত এই প্রথম পাক সরকার স্বীকার করে ভাওয়াল পুরে ওই মসজিদ ও মাদ্রাসা জইশের সদর দফতর।‘


আরও পড়ুন-কৃষকদের জন্য ৭৫,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প, আজই চালু করছেন মোদী


শনিবার পাক সরকারের আধিকারিকরা বেশকিছু সাংবাদিকদের নিয়ে ভাওয়ালপুরের ওই ক্যাম্পাসে যায়। সেখানে গিয়ে ঘোষণা করা হয়, এই ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি জইশের সদর দফতর নয়। ভাওয়ালপুরের ডেপুটি কমিশনার শাহজিব সইদ ওই ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের ঘুরে দেখান। সেখানকার মসজিদ ও মাদ্রাসার সঙ্গে মাসুদ আজহারের কোনও সম্পর্ক থাকার কথা তিনি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, এখানে ৬০০ ছাত্র পড়াশোনা করে। কোনও ছাত্রের সঙ্গেই জইশের সম্পর্ক নেই।