নিজস্ব প্রতিবেদন: চির ধরল চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরে। ধাক্কাটা এল পাকিস্তানের হাত ধরেই। পাক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রে খবর, গিলগিট-বাল্টিস্তানের উপর ডায়ামার-ভাশা বাঁধ প্রকল্পে চিনের আর্থিক সাহায্য চাইছে না পাকিস্তান সরকার। সূত্রের খবর, সিপেক পরিকাঠামোয় এই প্রকল্পে চিনের যে অবস্থান তাতে খুশি নয় পাকিস্তানের খকন আব্বাসি সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের জল এবং বিদ্যুত্ উন্নয়ন অথরিটি (ডব্লিউএপিডিএ)-র চেয়ারম্যান মুজামিল হুসেন জানিয়েছেন, ডায়ামার-ভাশা বাঁধ তৈরি করতে চিন যে আর্থিক শর্ত চাপিয়ে দিচ্ছে তা বাস্তবে রূপায়ন করা সম্ভব নয় এবং তাদের সিদ্ধান্ত পাকিস্তানে স্বার্থ বিরুদ্ধ। হুসেন আরও বলেন, “দেশের অর্থেই এই প্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শহিদ খকন আব্বাসি।” গত সপ্তাহে সিপেক নিয়ে একটি ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সমস্যার কথা উঠে আসে বলে খবর।


আরও পড়ুন- 'দুর্নীতি না কমলে চিনের লাল রং পাল্টে যেতে পারে'


প্রসঙ্গত, সিপেকের সর্বোচ্চ নির্ণায়ক বডি জয়েন্ট কর্পোরেশন কমিটি সিন্ধু নদের উপর ডায়ামার-ভাশা বাঁধ তৈরি করতে সম্মত হয়। জানা যায়, এই বাঁধ তৈরি করতে আনুমানিক ১৪০০ কোটি ডলার খরচ হবে। কিন্তু চিন এই প্রকল্পের মালিকানা দাবি করে শর্তারোপ করায় বেঁকে বসে পাক সরকার।


আরও পড়ুন- যিশু বদলে টাঙাতে হবে শি জিনপিংঙের ছবি, হুলিয়া জারি করল চিনা সরকার


অন্যদিকে সিপেক ভারতের ‘বিতর্কিত এলাকার’ মধ্যে গড়ে ওঠায় আর্থিক সাহায্য না করার কথা জানিয়ে দেয় এশিয়ান ডেভালপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)। বিশ্বব্যাঙ্কও এই প্রোজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে। ফলে সেক্ষেত্রে সিপেকের (পড়ুন, চিনের) শর্ত না মেনে যদি নিজেদের অর্থ এই প্রোজেক্ট বানায় পাকিস্তান, তাহলে সামায়িকভাবে পাক-অর্থনীতি বড় ধাক্কা খাবে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পাশাপাশি বেজিং-এর সঙ্গে ইসলামাবাদের সুম্পর্কেও চির ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছে কূটনৈতিক মহল।