ওয়েব ডেস্ক: 'অনার কিলিং' এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে দুটি কঠোর আইন পাস করার পর পাকিস্তানে ফের কঠোরতম সিদ্ধান্ত। ১২ বছরের ছোট্ট মেয়েকে খুন করার অপরাধে খালিদ মেহমুদ নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিল পাক আদালত। সঙ্গে ৫ লক্ষ টাকার জরিমানা। গত বছর ১২ বছরের মেয়েকে খুন করার কারণ ছিল বলা সত্ত্বেও 'গোল রুটি' না বানানো। আদালতে দাঁড়িয়ে খালিদ স্বীকার করেছিল, সে তার ১২ বছরের মেয়েকে বলেছিল রুটি যেন গোল হয়। কিন্তু সেটা তার মেয়ে না শোনায় খুন করে বসে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ৯৭ জন স্ত্রীর সঙ্গে ১৮০ জন সন্তান, আরও বিয়ে করবেন ৯২ বছরের বৃদ্ধ!


প্রথমে অবশ্য খালিদ মেয়েকে খুনের কথা স্বীকার করেনি। মেয়েকে খুন করে নিজেই এফআইআর দাখিল করে খালিদ বলেছিল, খাবার কিনতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়ে ফেরেনি, তাকে হয়তো অপহরণ করা হয়েছে। পরে খুনের তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, মেয়ো হাসপাতালের বাইরে পড়ে থাকা মৃত মেয়েটিকে তার বাবাই খুন করেছে সে গোল রুটি না তৈরি করায়। মেয়েকে খুন করে হাসপাতালের বাইরে তার দেহটি ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছিল খালিদ। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে যায় খালিদ। সঙ্গে মেয়েটার মা-ও জানায় কী নির্দয় ভাবে মেয়েকে মেরেছিল দুজনে মিলে।


আদালত জানায়, যে মানুষটা এত ছোট একটা কারণে নিজের মেয়েকে খুন করতে পারে তাকে ক্ষমা করার কোনও প্রশ্নই নেই।