নিজস্ব প্রতিবেদন: ছুটিতে গেলেন পাক অর্থমন্ত্রী ইশাক ডার। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করতেই তত্ক্ষণাত্ মঞ্জুরও হয়ে যায় আর্জি। আর্থিক দুর্নীতির মামলা চলছে ডারের বিরুদ্ধে। পানামা পেপার কেলেঙ্কারিতেও নাম রয়েছে পাক অর্থমন্ত্রীর। তবুও শরিফ ঘনিষ্ঠ পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-র এই নেতা অর্থ এবং শুল্ক মন্ত্রকের দায়িত্বে রয়েছেন। পাকিস্তান সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ডরের আর্জি মঞ্জুর করার পাশপাশি ওই মন্ত্রকের সমস্ত দায়িত্ব থেকে তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শহিদ খাকান আব্বাসি। সূত্রে খবর, তিন মাসের ছুটির আবেদন করেছিলেন ডার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- তিক্ততা অতীত, স্বাধীনতা নয়, চিনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তিব্বত : দলাই লামা


প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ৬৭ বছর বয়সী ডার জানিয়েছেন, লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিত্সা করাচ্ছেন তিনি।  চিকিত্সকরা জানিয়েছেন এই মুহূর্তে বিমানে যাত্রা করা যাবে না। ডার জানান, এতদিন ইমেল, হোয়াটসঅ্যাপ, ফোনের মাধ্যমে মন্ত্রক চালিয়েছি। ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, পানামা এবং অন্যান্য দুর্নীতি মামলায় হাজিরা এড়াতেই অজুহাত খাঁড়া করছেন ইশাক ডার।


আরও পড়ুন- জাতি-নিধন করছে মায়ানমার, রোহিঙ্গা নিয়ে সরব মার্কিন বিদেশসচিব


অন্যদিকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ঘনিষ্ঠ ডারের এই ছুটির আবেদনে আব্বাসিও খুশি হয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির একাধিক মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন নওয়াজ। পানামা পেপার ফাঁস হওয়ার পর আরও বেকায়দায় তিনি। ডার ছুটি নেওয়ায় পাকিস্তানের প্রশাসন ও রাজনীতিতে আব্বাসি আরও বেশি ক্ষমতা কায়েম করবেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।


২০১৩-তে নওয়াজের ক্যাবিনেট মন্ত্রী হন ইশাক ডার। দায়িত্ব পান অর্থ, শুল্ক, পরিসংখ্যান এবং বেসরকারিকরণ মন্ত্রকের। ডারের বিরুদ্ধে ৮৩.৭০ কোটি টাকার হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির থাকার অভিযোগ ওঠে।  সিপেক-র বিশেষ কিছু প্রকল্পে চিনের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক অস্থরিতার সময়ে ডার ছুটিতে যাওয়ায় আব্বাসি প্রশাসনে ভালই প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে শরিফ ঘনিষ্ঠরাও।