নিজস্ব প্রতিবেদন: জম্মু-কাশ্মীর ভারতেরই রাজ্য। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের সামনে স্বীকার করে নিলেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসি।       


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জম্মু-কাশ্মীরকে চিরকাল 'ভারত অধিকৃত কাশ্মীর' বলে দাবি করে আসছে পাকিস্তান। ভারত সরকার স্পষ্টই বলেছে, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের বৈঠকের ফাঁকে ভারতের দাবিই মেনে নিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। সত্য আর চাপা দিতে পারলেন না শাহ মাহমুদ কুরেসি। বলেন, ''ওরা বলছে, জম্মু-কাশ্মীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তাহলে কেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও এনজিও-কে ভারতের রাজ্য জম্মু-কাশ্মীরে অনুমতি দিচ্ছে না? ওরা মিথ্যা বলছে। কারফিউ উঠে গেলে বিশ্ব দেখতে পারবে।'' 



রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ১৫ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড ধরে খালি মিথ্যাই বলে গিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেসি। ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ নিয়ে রাহুল গান্ধী ও ওমর আবদুল্লার মন্তব্যকে উদ্ধৃতও করে পাকিস্তান। পাকিস্তানের ১১৫ পাতার ফাঁস হওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরে দমনপীড়ন চালাচ্ছে ভারত। কাশ্মীর হত্যা ও কথায় কথায় তল্লাশি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। 


এদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার পরিষদে শুরুতেই কাশ্মীর নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে ভারত। নয়াদিল্লি জানিয়েছে, ১০০ শতাংশ টেলিফোন পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগ এলাকাতেই বহাল তবিয়তে চলছে মোবাইল পরিষেবা। দশম শ্রেণি পর্যন্ত খোলা সমস্ত স্কুল। শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষার প্রস্তুতিও। জারি রয়েছে হজযাত্রা। দশ হাজারের বেশি যাত্রী শীঘ্রই ফিরে আসবেন। জম্মু-কাশ্মীরে ব্যাঙ্কিং ও এটিএম পরিষেবাও স্বাভাবিক। সরকারি অফিসেও কর্মীরা নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। নির্বিঘ্নে চলছে সরকারি কাজকর্ম।


আরও পড়ুন- রাষ্ট্রসঙ্ঘে কাশ্মীর নিয়ে রাহুলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করল পাকিস্তান