নিজস্ব প্রতিবেদন- সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় জেরবার পাকিস্তানের প্রশাসন। তাই এবার ধর্ষণ রোধে নতুন আইন প্রণয়ন করতে চলেছে ইমরান খানের সরকার। নতুন এই আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনায় যুক্ত অপরাধী এবার কড়া শাস্তি ভোগ করবে। পাকিস্তানের সরকার অন্তত এমনটাই দাবি করছে। সিরিয়াল রেপিস্ট অর্থাৎ একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়ানো ব্যক্তির সাজা হিসেবে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করবে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু সব থেকে বড় বিড়ম্বনা, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধেই যৌন শোষণের অভিযোগ উঠেছিল। তাই পাক সরকার নতুন আইনের কথা ঘোষণা করতেই দেশের মানুষ হাসাহাসি শুরু করেছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর নামে যেখানে যৌন শোষণের অভিযোগ উঠেছে, সেখানে নতুন আইন কতটা কার্যকর হবে! যদিও পাকিস্তানের সরকার এসব কথায় কান দিতে নারাজ। মাস তিনেক আগে এই শাস্তির কথা প্রাথমিকভাবে আলোচনা করেছিলন ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রীর সেই আইডিয়া এবার আইনের রূপ নিচ্ছে। মন্ত্রীমন্ডলের স্বীীকৃতি পাওয়ার পর পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতিও নতুন এই আইন প্রণয়নে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন।


আরও পড়ুন-  কোভিডের এক নতুন varient-র সন্ধান মিলল ব্রিটেনে, জারি হচ্ছে Tier 3 সতর্কতা


পাকিস্তানের নতুন এই আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের ঘটনা ঘটার ছ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তের মেডিকেল পরীক্ষা হবে। এরপরই জাতীয় স্তরের একটি রেজিস্ট্রার তৈরি করা হবে। সেখানে বারবার ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়ানো অপরাধীদের তালিকা থাকবে। ট্রায়ালের চার মাসের মধ্যে রেপ কেসের সাজা ঘোষণা করবে দেশের আদালত। এরপরই অপরাধীদের উপর চলবে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট (Chemical Castration)। বলা হচ্ছে এই কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট-এর ফলে অপরাধীদের কামোত্তেজনা নষ্ট করে দেওয়া হবে। তবে কোনওভাবেই ধর্ষিতা মহিলার নাম কোথাও উল্লেখ করা যাবে না।