নিজস্ব প্রতিবেদন- আশঙ্কাই সত্যি হল। ইসলামি সংগঠন জামিয়া আসরফিয়ার জারি করা ফতোয়ায় শেষমেশ ভয় পেলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমান খান। ইসলামাবাদের প্রথম শ্রীকৃষ্ণ মন্দির নির্মানের কাজ আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানের সরকার। মুসলিম কট্টরপন্থীদের ফতোয়ায় ভয় পেয়ে পিছু হটলেন ইমরান। দিনকয়েক আগেই তাঁর সরকার এই মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছিল। ইসলামাবাদের এইচ-৯/২ সেক্টরে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা হওয়ার কথা ছিল। পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় সম্পাদক লাল চাঁদ মাহি গত সপ্তাহেই মাটি খুঁড়ে মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজের সূচনা করেছিলেন। কিন্তু দিনদুয়েক আগেই জামিয়া আসরফিয়া নামের একটি ইসলামিক সংগঠন মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জামিয়া আসরফিয়া মন্দির নির্মাণ রুখতে ফতোয়া জারি করেছিল। তাদের দাবি ছিল, পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের যে কটি ধর্মস্থান রয়েছে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করা যেতে পারে। কিন্তু নতুন করে আর কোনও মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। জনগণের করের টাকায় মন্দির নির্মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল এই সংগঠন। আর তাদের জারি করা ফতোয়ায় ভয় পেয়ে গেল দেশের সরকার। যদিও লাল চাঁদ মাহি বলেছিলেন, কোনও বাধা তারা আর মানবেন না। মন্দির প্রতিষ্ঠা হচ্ছেই। তবে চাপের মুখে তিনিও নতি স্বীকার করতে বাধ্য হলেন। পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ভাবাবেগের মূল্য দেওয়া হবে। তবে আপাতত মন্দির নির্মানের কাজ বন্ধ রাখা হবে। ভবিষ্যতে এই মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান দেওয়ার ব্যাপারে ভাবা হবে।


আরও পড়ুন- পাকিস্তানের ফারুকাবাদে প্রাণ হারালেন ১৯ জন শিখ ধর্মাবলম্বী, তদন্তের নির্দেশ দিল ইমরানের সরকার


২০১৭ সালে হিন্দু কাউন্সিলকে ক্যাপিটেল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদের ওই এলাকায় ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি মন্দির নির্মাণের জন্য দিয়েছিলেন। কিন্তু ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ক্যাপিটেল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছিল। হাইকোর্ট জানিয়েছিল, মন্দির নির্মাণ শহরের মাস্টারপ্ল্যানের বিরুদ্ধে। এই মন্দির নির্মান হলে ইসলামাবাদের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষদের আর প্রার্থনার জন্য রাওয়ালপিন্ডি যেতে হত না।