নিজস্ব প্রতিবেদন: পুলওয়ামা হামালার কারিগর জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার এই মুহূর্তে কোথায়? এই প্রশ্নটাই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় করছে। গতকাল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং স্পষ্ট করেন, পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের বহবলপুরেই ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অমরিন্দর সিংয়ের পরামর্শ, ওখানে গিয়ে তাকে গ্রেফতার করুন। না পারলে আমাদের জানান। আপনার হয়ে আমরা কাজ করে আসবো। অর্থাত্ যেনতেন প্রকারে মাসুদ আজহারকে হাতে পেতে মরিয়া ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- পুলওয়ামা হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বললেন ট্রাম্প, ইঙ্গিতও দিলেন সঠিক সময়ের জবাব দেওয়ার


ইন্ডিয়া টুডে সংবাদমাধ্যম সূত্র অনুযায়ী, পুলওয়ামা ঘটনার এক সপ্তাহ আগে পেশোয়ারে একটি জনসভা করে মাসুদ। জঙ্গি নিয়োগ করতে প্রকাশ্যে ভাষণ দিতে শোনা গিয়েছে তাকে। এমনকি মাসুদের জন্য সরকারের তরফে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হয়। ওই জনসভায় মাসুদকে বলতে শোনা গিয়েছে, “একটা সময় এই ভাইয়েরা (পুলিস) আমাদের পতাকা ব্যবহারে অনুমতি দিত না কিন্তু এখন এটা দেখে চোখে জল আসে যে আমাদের পতাকাকে সমর্থন জানিয়ে মিছিলে হাঁটছে ওরা।” অসমর্থিত সূত্রে জানা যাচ্ছে, মাসুদ এই মুহূর্তে গুরুতর অসুস্থতার কারণে রাউলপিণ্ডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।



সম্প্রতি পুলওয়ামা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদমাধ্যমে মাসুদ আজহারের মন্তব্য পাওয়া যায়। সেই বক্তৃতায় মাসুদকে বলতে শোনা যায়, গুগলে পুলওয়ামার কোনও মেয়ের নাম লিখলে জইশের পতাকা ফুটে উঠবে। এমনকি কাশ্মীরিদের বাড়িতে জইশ প্রধানের ছবিও খুঁজে পাবেন। পুলওয়ামার ঘাতক আদিলের উদ্দেশে মাসুদের বার্তা, তার এই আত্মবলিদান আমাদের পথ চলা অনেকটাই এগিয়ে দিল। তবে এখনও আমাদের কাজ শেষ হয়নি। পুলওয়ামা হামলার উদ্দেশ্যও স্পষ্ট করে মাসুদের দাবি ছিল, ২০০১ পার্লামেন্ট হামলায় সাজাপ্রাপ্ত আফজ়ল গুরু, মাসুদের দুই ভাইপো উসমান এবং তালহার মৃত্যুর বদলা নিতেই পাকিস্তান থেকে আরও জঙ্গি পাঠাচ্ছে জইশ। বলে রাখি, মাসুদের এ সব মন্তব্যের সত্যতা যাচাই করেনি জি় ২৪ ঘণ্টা ডট কম।


আরও পড়ুন- পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা : পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্যকে সমর্থন শাহিদ আফ্রিদির


গতকাল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্তব্য আসার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের পাল্টা জবাবে বলা হয়েছে, জইশ-ই-মহম্মদ পাকিস্তানের সংগঠন এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পাকিস্তানের মাটিতেই ঘাঁটি রয়েছে তাদের। মাসুদ নিয়ে ভারতের হাতে মজবুত তথ্য রয়েছে বলে দাবি বিদেশমন্ত্রকের। তবে, পুলওয়ামা ঘটনায় পাকিস্তানের যুক্ত থাকার প্রমাণ মিললে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দাবি করেন পাক প্রধানমন্ত্রী।



উল্লেখ্য, ২০০৮ মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ় সইদ গত পাক নির্বাচনে পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে। এমনকি প্রকাশ্যে ভোটদান করতে দেখা গিয়েছে তাকে। রাজনৈতিক মহলে অবাধে জঙ্গিদের বিচরণ করছে। ২০১৬ সালে পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, জইশ প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘প্রোটেক্টিভ কাস্টাডি’-তে রেখেছে পাকিস্তান। পঞ্জাবের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লা দাবি করেন, পাঠানকোট হামলায় যোগসাশজ প্রমাণিত হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে। পাঠানকোট, মুম্বই হামলা-সহ একধিক ঘটনায় হাফিজের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ ভারত দিলেও তার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি ইসলামাবাদকে। উল্টে তাকে গৃহবন্দি থেকে মুক্ত করা হয়। পুলওয়ামা হামলায় অভিযুক্ত মাসুদের ক্ষেত্রেও একাধিকবার পাক উদাসীনতার অভিযোগ তুলেছে ভারত।