নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানকে তীক্ষ্ণ বাক্যবাণে সুষমা স্বরাজ নিশানা করার পর আরএসএস, যোগী, নাগরিকপঞ্জির মতো বিষয়তুলে ভারতকে পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল নিল পাকিস্তান। রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাক প্রতিনিধি সাদ ওয়ারিক আরএসএস-যোগীর কথা তুলে ধরেন। তাঁর দাবি, ভারতের বিরুদ্ধমতের কোনও ঠাঁই নেই। ফ্যাস্তিস্ত আদর্শ প্রচার করছে বিজেপি-আরএসএস। এমনকি বাঙালিদের ঘরছাড়া করা হয়েছে বলেও দরদ দেখিয়েছে ৭১-এর বাঙালিঘাতক পাকিস্তান।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে শনিবার কোণঠাসা করেছিলেন সুষমা স্বরাজ। বিদেশমন্ত্রী বলেছিলেন,''পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায় আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদ। এমনকি ভোটেও লড়াই করে''। তার পাল্টা দিতে আরএসএস-যোগীকে টানল ওয়ারিক। তাঁর অভিযোগ, ''এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বৃদ্ধির জন্য দায়ী আরএসএসের কেন্দ্রগুলির ফ্যাসিস্ত আদর্শ। গোটা ভারতজুড়ে কট্টর ধর্মীয় ভাবধারা বিস্তারের চেষ্টা চলছে। ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই উগ্র হিন্দুত্ববাদী''।             


ভারতে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি গণধোলাইয়ের ঘটনার কথাও তুলে ধরেন পাক প্রতিনিধি। তাঁর দাবি, কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হাতে প্রতিদিন খুন হচ্ছেন মুসলিম-খ্রীষ্টান সহ সংখ্যালঘুরা। এমনকি বাঙালির উপরে নৃশংস হত্যালীলা চালানো পাকিস্তানের মুখেও শোনা গিয়েছে বাঙালির প্রতি দরদের কথা। তিনি বলেন, অসমে কয়েক লক্ষ বাঙালি আচমকা ঘরছাড়া। তাঁদের নাগরিকত্বের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এমনকি ভারতের এক নেতা তাঁদের উইপোকা বলছেন। গির্জা ও মসজিদে আগুন লাড়ানো হচ্ছে। অন্যদের জ্ঞান দেওয়ার অধিকার ভারতের নেই।                 


এদিন আবার ২০১৪ সালের পেশোয়ার হামলায় ভারত মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলে ধুয়ো তোলেন পাক বিদেশমন্ত্রী। রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে এ হেন মন্তব্যে ছেড়ে কথা বলেনি ভারত। ভারতের কড়া বার্তা, হামলায় নিহত শিশুদেরও অসম্মান করতে ছাড়ল না পাকিস্তান। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের দূত এনাম গাম্ভীর বলেন, ''সন্ত্রাসবাদ থেকে নজর ঘোরাতে এসব তত্ত্ব আমদানি করছে ইমরান খানের সরকার। রাষ্ট্রসংঘ যে সন্ত্রাসীদের কালো তালিকায় রেখেছে, পাকিস্তান তাদের খাতির-যত্ন করে। হাফিজ সইদের মতো সন্ত্রাসীদের পোষে এই দেশ''। 


শনিবার রাষ্ট্রসঙ্ঘে সুষমা স্বরাজ বলেছিলেন, ''পাকিস্তানে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাফিজ সইদের মতো সন্ত্রাসবাদী। বিশ্বের কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী গৌরবান্বিত করছে পাকিস্তান। তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীর তকমা দেওয়া হচ্ছে। নৃশংসতাকে বীরত্ব বলে চালাচ্ছে পাকিস্তান। তাদের নামে প্রকাশ করা হচ্ছে ডাকটিকিট''। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বুরহান ওয়ানির নামে ডাকটিকিট প্রকাশ করে পাকিস্তান। 


বেয়াড়া পড়শিকে একঘরে করার কূটনৈতিক প্রস্তুতি শুরু করেছে ভারত। আর তাতেই ফোঁস করে উঠেছে ইসলামাবাদ।বাক যুদ্ধে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আগামিদিনে এ লড়াই কোন মাত্রা নেয়, সেটাই দেখায়।


আরও পড়ুন- রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল ৫৯ টাকা, ২.৮৯ টাকা বৃদ্ধি ভর্তুকিযুক্ত সিলিন্ডারের