নিজস্ব প্রতিবেদন :  শেষপ‌র্যন্ত দেশের কট্টরপন্থীদের কাছে নতি স্বীকার করল পাক সরকার। বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে পদত্যাগ করলেন সেদেশের আইনমন্ত্রী জাহিদ হামিদ। পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর অনু‌যায়ী রবিবার এ নিয়ে সরকার ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একটি সমঝোতা হয়। তারপরেই পদত্যাগ করার কথা ঘোষণ করেন হামিদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের সরকারি টিভি চ্যানেল পিটিভি-র খবর অনু‌যায়ী প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খোকান আব্বাসির কাছে পদত্যাদপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন হামিদ। সেখানে লেখা হয়েছে, ব্যক্তিগত কারণেই তিনি সরে ‌যাচ্ছেন। পাক সংবাদমাধ্যম দ্যা ডন-এর খবর অনু‌যায়ী, সোমবারই হামিদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী খোকান। তবে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা বিক্ষোভ থামাতেই এ ছাড়া আর কোনও রাস্তা পাক সরকারের সামনে খোলা ছিল না বলেই মনে করছে পাকিস্তানের বিভিন্ন মহল।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাকিস্তানের নির্বাচনি আইনে একটি সংশোধন করা হয়। তার পরেই আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ফেটে পড়ে জনতা। কট্টরপন্থী বিক্ষোভকারীদের দাবি, ওই আইন ইসলাম বিরোধী। সামনেই পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। তার আগে আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে পড়ে দেশের অধিকাংশ ধর্মীয় সংগঠন। তাদের দাবি, নির্বাচনী আইন সংশোধন করে 'নবিকে(স.)। (নবির প্রতি সম্মান জানাতে একটি প্রশংসসূচক বাক্য ব্যবহার করা হয়। স. তারই সংক্ষিপ্ত রূপ') অপমান করা হয়েছে। গত ৬ নভেম্বর থেকে রাজধানী ইসলামাবাদ, সহ দেশের একাধিক শহরে বিক্ষোভ ফেটে পড়ে জনতা। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বহু রাস্তা অবরোধ করে তারা জনজীবন অচল করে দেয়। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আবার এই বিক্ষোভে ভারতের হাত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন। শেষ পর্যন্ত আধাসেনা নামিয়েও সেই বিক্ষোভ দমন করা ‌যায়নি। ফলে, উপায় নেই দেখে বিক্ষোভকারীদের দাবিই মেনে নিতে বাধ্য হল সরকার বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন-বন্ধুত্ব ফেঁদে কিডন্যাপ, দুই বন্ধুকে গোপন ডেরায় আটকে মুক্তিপণের দাবি