COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার বাড়িয়েই চলেছে পাকিস্তান।  পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে নতুন ধরনের অস্ত্র নিয়েও। ভারতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই  যে এই কর্মসূচি, তা স্পষ্ট পাকিস্তানের নীতিতেই। আশঙ্কা, পাকিস্তানের এই একতরফা প্রস্তুতি প্রভাব ফেলতে পারে দুদেশের সম্পর্কের ভারসাম্যে।সামরিক শক্তিতে ভারতের সঙ্গে টেক্কা দেওয়া কঠিন। তিনটি যুদ্ধে পরাজয়ের পর তা ভালই জানে পাকিস্তান। তাই দিল্লিকে চাপে রাখতে পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারই ইসলামাবাদের প্রধান হাতিয়ার। পাক পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের রিসার্চ সার্ভিসের সাম্প্রতিক রিপোর্ট। আঠাশ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে,পাক অস্ত্র ভাণ্ডারে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা কমপক্ষে ১৩০, পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার আরও বাড়াতে  উদ্যোগী পাকিস্তান, নতুন ধরনের পরমাণু অস্ত্র নিয়েও চলছে পরীক্ষা, ভারতকে সর্বাত্মক প্রতিরোধের জন্যই এই পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডার।



পাক পরমাণু প্রকল্পকে বরাবরই সন্দেহের চোখে দেখেছে আন্তর্জাতিক মহল। বিশেষত পাক পরমাণু বোমার জনক আব্দুল কাদের খানের বিরুদ্ধে  তথ্য পাচারের অভিযোগ ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে।  সংশয়ের সেই পরিবেশ দুর করতে পরমাণু নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একধিক কঠোর নিয়ম জারি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু কংগ্রেসের রিপোর্টে আশঙ্কা। ইসলামাবাদ পরমাণু অস্ত্রের নিরাপত্তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও, পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা এই নিরাপত্তাব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। পাকিস্তানের লক্ষ্য, যেকোনও ভাবে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার গ্রুপের ছাড়পত্র পাওয়া। কিন্তু সেক্ষেত্রেও প্রধান বাধা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা। পাশাপাশি আশঙ্কা, ভারত-পাক পরমাণু অস্ত্রের প্রতিযোগিতা দুদেশের সম্পর্কের ভারসাম্য বিপন্ন করতে পারে। বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কাও।