কাশ্মীর থেকে আটক পাকিস্তানের গুপ্তচর পায়রা, ফেরতের আর্জি জানাল মালিক
পাকিস্তানের জনপ্রিয় ডন পত্রিকায় ওই ব্যক্তি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম হাবিবুল্লাহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন— ২০১৬ সালে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীরে উড়ে এসেছিল একটি পায়রা। সেটির পায়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া একটি নোট উদ্ধার হয়েছিল। সেবারই অবশ্য এমন ঘটনা প্রথম নয়। ২০১৫ সালেও কাশ্মীরের সীমান্ত লাগোয়া এক গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোর সাদা রংয়ের একটি পায়রা উদ্ধার করে। সেটির পায়েও সন্দেহজনক কোড লেখা ছিল। এবারও একই ঘটনা ঘটেছিল। পাকিস্তান বরাবর পায়রা পাঠিয়ে ভারতীয় সীমান্তে গুপ্তচরবৃত্তি করে। এবার যে পায়রাটি উদ্ধার হয়েছে সেটির পায়ে রিং পরানো ছিল। সেইসঙ্গে পায়ে লেখা ছিল একটি কোড। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সেই কোড—এর মানে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। তবে এর মধ্যে নতুন ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, পায়রাটি তাঁর। এবং সেটি একেবারে সাদামাটা পায়রা। ভুল করে ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে পড়েছে।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় ডন পত্রিকায় ওই ব্যক্তি সাক্ষাত্কার দিয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম হাবিবুল্লাহ। তিনি বলেছেন, ঈদের দিন তাঁর পায়রা ভুল করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছিল। তার পর সেটিকে আটক করে রাখা হয়েছে। পায়রা শান্তির প্রতীক। তাঁর পায়রাকে আটকে রেখে ভারত ঠিক কাজ করছে না বলেও জানায় সে। নিষ্পাপ একটি পায়রার উপর ভারতীয় সেনা অত্যাচার করছে বলে জানায় হাবিবুল্লাহ। যদিও তাঁর কথায় অন্ধের মতো বিশ্বাস করছে না ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সোমবার কাশ্মীরের একটি গ্রাম থেকে ওই পায়রাকে উদ্ধার করে পুলিসের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পরই সেটির পায়ে রিং ও সন্দেহজনক কোড দেখে পুলিস।
আরও পড়ুন— ভারতের সুর কড়া হতেই নতুন মানচিত্র নিয়ে পিছু হঠল নেপাল
হাবিবুল্লাহ দাবি করেছে, পায়রার পায়ে যেটা কোড হিসাবে লেখা সেটা আসলে তাঁর মোবাইল ফোনের নম্বর। পায়রা হারিয়ে গেলে কেউ যাতে সেটিকে তাঁর কাছে ফেরত দিতে পারে তাই এমন উদ্যোগ। হাবিুল্লাহ জানিয়েছে, তাঁর কাছে কয়েক ডজন পোষা পায়রা রয়েছে। ভারতে ঢুকে পড়া পায়রাটি তাদেরই একজন। কিন্তু পায়রার পায়ের সংকেতলিপি নিয়ে পুলিসের সন্দেহ বাড়ছে। সীমান্ত অঞ্চলে পায়রা দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তি নতুন কিছু নয়। হাবিবুল্লাহর দাবি, ঈদের দিন সে পায়রাটিকে ছেড়ে দেন। তার পরই সেটিকে আর খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। হাবিবুল্লাহ নিজেকে সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে।