Pandemic: আসছে দুনিয়া স্তব্ধ করে দেওয়া পরবর্তী অতিমারী, উৎস? হিমবাহ!
একটা ভাইরাস সমগ্র মানবজাতিকে প্রায় দু’বছর আতঙ্কে ঘরবন্দি করে রেখেছিল। তবে এরই মধ্যে পরবর্তী অতিমারীর কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। রবর্তী অতিমারী বাদুড় বা ইঁদুর কোনও কিছু থেকেই হবে না। বরং, হতে পারে গলিত হিমবাহ থেকে। আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তনের ফলে ভাইরাস তাদের চরিত্র বারংবার খুব দ্রুত পরিবর্তন করতে পারবে, যার ফলে খুব সহজেই ভাইরাসগুলি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই ভাইরাসগুলির চরিত্র হবে ভয়ংকর।
সৃজিতা মৈত্র
করোনা ভাইরাস মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছে, এই পৃথিবীতে যে কোনও দিন যা কিছু ঘটে যেতে পারে। একটা ভাইরাস সমগ্র মানবজাতিকে প্রায় দু’বছর আতঙ্কে ঘরবন্দি করে রেখেছিল। কোভিড-19 আসার আগে অবধিও মানুষের কাছে এই পরিস্থিতি কল্পনাতীত ছিল। তবে এখন পুরোপুরি না পারলেও, পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার মধ্যেই, পরবর্তী অতিমারীর কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আশঙ্কা, পরবর্তী অতিমারী বাদুড় বা ইঁদুর কোনও কিছু থেকেই হবে না। বরং, হতে পারে গলিত হিমবাহ থেকে।
বিশ্ব উষ্ণায়নের একের পর এক ভয়াবহ দিক বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করছেন। বিশ্ব জুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে, হিমাবাহগুলি দ্রুত গলতে শুরু করেছে। সেখানকার মাটির জেনেটিক অ্যানালিসিস করে দেখা গিয়েছে যে, হিমবাহের দ্রুত গলনের ফলে ভাইরাল স্পিল ওভার হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ভাইরাল স্পিল ওভার হল এমন একটি প্রক্রিয়া, যাতে কোনও ভাইরাস সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য নিজের চরিত্র প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করতে পারে। রয়্যাল সোসাইটিতে প্রকাশিত একটি জার্নাল অনুসারে, পৃথিবীর আবহাওয়ার এই দ্রুত পরিবর্তনের ফলে ভাইরাস তাদের চরিত্র বারংবার খুব দ্রুত পরিবর্তন করতে পারবে, যার ফলে খুব সহজেই ভাইরাসগুলি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেই ভাইরাসগুলির চরিত্র হবে ভয়ংকর।
আরও পড়ুন : UFOs: প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে ইউএফও'র ছড়াছড়ি! এ কী আশ্চর্য জিনিস দেখলেন পাইলট!
বিজ্ঞানীরা পরীক্ষার জন্য পৃথিবীর বৃহত্তম মিষ্টি জলের ভাণ্ডার হ্যাজেন নামের একটি হ্রদ থেকে মাটি ও পলির নমুনা সংগ্রহ করেন। সেই মাটিতে থাকা অজানা ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে আসেন। এর আগে ২০২১ সালে হিমবাহের জল ও মাটি পরীক্ষা করতে গিয়ে ৩৩ রকমের জমে থাকা ভাইরাসের হদিশ পান বিজ্ঞানীরা। অনুমান করা হচ্ছে, সেগুলি প্রায় ১৫ হাজার বছর পুরনো। আরও চমকে দেওয়ার মতো বিষয় হল যে, ৩৩ টির মধ্যে ২৮ টি ভাইরাস নতুন। অর্থাৎ, তার সংক্রমণের প্রকৃতি বা নিরাময় সম্পর্কে বিজ্ঞানের কাছে তখনও অজানা। এই নতুন ভাইরাসগুলি তিব্বতের হিমবাহ থেকে পাওয়া গিয়েছে। ফলে শিয়রেই ঝুলছে শমন। এখনই সতর্ক না হলে, শেষের সে দিন কাছেই।