ওয়েব ডেস্ক: স্কচ নিয়ে কচকচানি। সুরাপ্রেমীদের অতি পছন্দের 'স্কচ হুইস্কি'কে ব্রিটেনের আইনে নথিভুক্ত করা হোক এবং গুণগতমানের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা গঠিত হোক না হলে বড় অর্থনৈতিক ধাক্কা খাবে সুরা অর্থনীতি, এমনটাই দাবি করে ব্রিটিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে স্কটিশ ইকোনমি সেক্রেটারি কিথ ব্রাউনের পক্ষ থেকে। বলা হয়েছে সুনির্দিষ্টভাবে আইন মোতাবেক 'স্কচ হুইস্কি'কে নথিভুক্ত করা না হলে ৪ বিলিয়ন ইউরোর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সংশ্লিষ্ট বাজারের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, ব্রেক্সিটের আবহে এমন আবেদন করার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কারণ, বর্তমানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) হুইস্কি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নানাবিধ বিধি রয়েছে, এর ফলেই নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি মদ বিক্রি রোখা হয়। কমপক্ষে তিন বছর ব্যারেলের মধ্যে স্পিরিটকে 'ম্যাচিওর' না করলে তাকে 'স্কচ হুইস্কি' হিসাবে গণ্য করা হয় না। ফলে যেহেতু ২০১৯ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের পদ্ধতিগত বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ হবে তাই আগাম এবিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আবেদন করেছে স্কটিশ সরকার।


উল্লেখ্য, সম্প্রতি 'হুইস্কি' তকমা লাভের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ শিথিল করার পক্ষে মার্কিন সরকারের সমর্থন জানানোয় বিশেষ দুশ্চিন্তায় স্কচ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি স্কটিশ সরকার। কারণ, স্কটিশ অর্থনীতিতে অনেকটাই অবদান রয়েছে এই সুরা বাণিজ্যের। তাই 'হুইস্কি' হয়ে ওঠার 'ক্রাইটেরিয়া' শিথিল হলে নিম্নমানের 'ব্র্যান্ড' যেমন বাজারের বদনাম করবে তেমন অসম প্রপতিযোগীতা সৃষ্টি করে বাজারের ক্ষতিও করবে। ফলে সদ্য মার্কিন সফর সেরে আসা ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সচিব লিয়াম ফক্সকে সতর্ক করে  স্কটিশ ইকোনমি সেক্রেটারির এই চিঠি। এর পাশাপাশি রাণীর দেশকে সতর্ক করার তাত্পর্য রয়েছে অন্যত্রও। সেটি হল, উত্পাদিত 'স্কচ হুইস্কি'র ৯০ শতাংশই রফতানি হয়ে যায়। আর এর মধ্যে এক তৃতীয়াংশই কিনে নেয় বর্তমানের ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলি, যার মধ্যে অন্যতম ব্রিটেন। ফলে স্কচের গুণগতমানের ক্ষেত্রে সেদেশের সরকার আপোষ করলে (যেমন এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়ে ফেলেছে বিশ্বের দ্বিতীয় স্কচ আমদানিকারী দেশ আমেরিকা) সঙ্কটের মুখে পড়বে 'স্কচ হুইস্কি' শিল্প।