আমেরিকায় আরও এক `জর্জ ফ্লয়েড!` ফের কৃষ্ণাঙ্গর ঘাড়ে হাঁটু চেপে বসল পুলিস
তিনি এ-ও বলেছেন, `আমি শ্বাস নিতে পারছিনা, এইভাবে চিৎকার করার পরেও ছাড়েনি পুলিস।যদি আর ৫ মিনিট ওইভাবে আমায় ধরে রাখত তাহলে আমি হয়তো মরেই যেতাম।`
নিজস্ব প্রতিবেদন: আবারও আমেরিকা, আরও এক জর্জ ফ্লয়েড! ফের এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যাক্তির ঘাড়ে হাঁটু চেপে বসে থাকল মার্কিন পুলিস। ছেলেটির বাবা চিৎকার করে ছেলের প্রাণ ভিক্ষা চাইছেন। বলছেন,"ও কী করেছে? ছেড়ে দিন। জর্জ ফ্লয়েডের মতো মারা যাবে ও।" তবু পুলিস ছাড়েনি। অবশেষে পুলিসের হাঁটুর চাপে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি, নাম যুগেশ্বর গৌনদার্পরসৌদ।
জ্ঞান ফেরে হাসপাতালে। শেনেকটাডি থানার পুলিস ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। প্রতিবেশীর টায়ার কাটার অভিযোগ তাঁর নামে।
মিনিয়াপোলিসে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্য়ুর পর হাঁটু দিয়ে ঘাড় চেপে ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও এই ঘটনা, প্রায় ১০০ জন শেনেকটাডি থানার বাইরে এই ঘটনার প্রতিবাদে জমায়েত করেন। দাবি ওঠে ওই পুলিস অফিসারকে সাসপেন্ড করার।
আরও পড়ুন: মানুষের আকারের বাদুড়! হয় নাকি! ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে গা ছমছম করছে অনেকের
যদিও এখনও নাম জানা যায়নি ওই অফিসারের। ছেলের ঘাড়ে চাপ দেওয়ার সেই ভিডিয়ো রেকর্ড করেছিলেন বাবা জৈন্দ্র গৌনদার্পরসৌদ। কিছুক্ষণের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন পুলিস অফিসার তাঁর শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে চাপ দিচ্ছিলেন মাথায়। তিনি এ-ও বলেছেন, "আমি শ্বাস নিতে পারছিনা, এইভাবে চিৎকার করার পরেও ছাড়েনি পুলিস।যদি আর ৫ মিনিট ওইভাবে আমায় ধরে রাখত তাহলে আমি হয়তো মরেই যেতাম।"
পুলিস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে টায়ার কাটা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে একটি বিবাদ চলছিল। অভিযোগ পেয়ে ৯ টা ৩৮ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। সন্দেহভাজন ওই ব্যাক্তিকে ধরতে গেলে ছুটে পালিয়ে যান তিনি। তারপর তাঁকে ধাওয়া করে পুলিস। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।