নিজস্ব প্রতিনিধি- সন্দেহজনক একটা বস্তু পড়ে ছিল। তাই স্থানীয় মানুষরা পুলিসে খবর দিয়েছিলেন। রাত দশটার দিকে পুলিসের একটি দল আসে। ততক্ষণে এলাকায় প্রবল আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কালো টেপে মোড়া সেই সন্দেহজনক বস্তুটি দেখে পুলিসও সেটিকে বোমা ভেবে একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। যার জন্য বোমা নিষ্ক্রিয় করার লোকজনকেও খবর দেওয়া হয়। তারা এসে সারা রাত সেই সন্দেহজনক বস্তুটির পাহাড়ায় থাকেন। তবে রাতের অন্ধকারে কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার ঝুঁকি তাঁরা নেননি। ভোরের আলো ফুটতেই সেই সন্দেহজনক বস্তুটির পরীক্ষায় নামেন তাঁরা। আর তখনই চক্ষু চড়কগাছ হয় পুলিসকর্মীদের। কালো টেপে মোড়া সেই জিনিসটি আসলে বেগুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় সান্ত্বনার বার্তা দিলেও ভারতের পাশে নেই চিন


বাংলাদেশএর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানের ঘরের সামনে পাঁচিল সংলগ্ন এলাকায় বোমাসদৃশ জিনিসটি দেখা যায়। পুলিস ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের কর্মীদের ভিড় জমে থাকে সারা রাত। বৃহস্পতিবার সারা রাত সেই বোমের মতো দেখথে বেগুন পাহারা দেয় পুলিস। শুক্রবার সকাল দশটা নাগাদ বোমা নিষ্ক্রিয় করার যন্ত্রপাতি দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়। একটা সময় রিমোটের সাহায্যে দূর থেকে বোমা ফাটানোর চেষ্টাও করা হয়। কিন্তু কোনও কিছুতেই লাভ হচ্ছিল না। তার পরই সন্দেহ হতে থাকে পুলিসকর্মীদের। পরে সেই বস্তুটি বের করে দেখা যায় সেটি আসলে বেগুন।


আরও পড়ুন-  পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় নিন্দা পাকিস্তানের, ইমরান সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


পুলিসের তরফে জানানো হয়, বেগুনটির দুই পাশ থেকে লাল রঙের তার বেরিয়ে ছিল। এছাড়াও সেটিকে কালো টেপ দিয়ে মুড়ে রাখা হয়েছিল। পুলিসের দাবি, কেউ বা কারা আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্য নিয়েই এমনটা করেছিল। বাংলাদেশের হাটহাজারি মডেল থানার এক পুলিশ কর্মী দাবি করলেন, এমনভাবে বেগুনটিকে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল যে দেখে হ্যান্ড গ্রেনেডের মতো মনে হচ্ছিল।