জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খিস্ট্রীয় ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিস বড়দিনের প্রাক্কালে বিশ্বজুড়ে মানুষের সম্পদের খিদে আর ক্ষমতার লোভের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। শনিবার বড়দিনের আগের সন্ধ্যায়, যেটি 'ক্রিসমাস ইভ' নামে পরিচিত, সেদিন ভ্যাটিকানে দেওয়া বক্তব্যে পোপ এ কথা বলেন। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, ইউক্রেন যুদ্ধ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় সংঘাতের যে আবহ সেসবের প্রতি ইঙ্গিত করেই পোপ এই কথা বলেছেন। পোপ বলেন, তিনি মনে করেন, বিশ্বে যুদ্ধ ও সংঘাত পরিস্থিতির কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগছেন দুর্বল ও অসহায় মানুষজন। শনিবার সন্ধ্যায় ৮৬ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস হুইলচেয়ারে করে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় আসেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Russian Ukraine War: এবার স্পষ্টতই 'যুদ্ধ' ঘোষণা করলেন পুতিন! দীর্ঘ ধানাইপানাই ছেড়ে রণাঙ্গনেই সম্মতি...


এই সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকাতেই সেখানে সমবেত উপাসনাকারীদের প্রতি এই ভাষণ দেন পোপ ফ্রান্সিস। সেই সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘সব কিছু ছাপিয়ে আমি শুধু ভাবছি যুদ্ধ, দারিদ্র্য আর অবিচার-জর্জরিত শিশুদের কথা।’ মানুষের ক্ষমতার লোভ নিয়ে পোপ বলেন, ‘প্রাণীরা তাদের খোপে দেওয়া খাবারটুকুই খায়; আর আমরা, মানুষেরা, নিজেদের সম্পদের খিদে ও  ক্ষমতার খিদে নিবারণের জন্য প্রতিবেশী ও ভাইবোনদের পর্যন্ত গিলে খাচ্ছি!’


আরও পড়ুন: British PM Rishi Sunak: রাত তখন ১২টা! হঠাৎই ঋষি সুনাকের ফোন এল সরকারি কর্মীদের কাছে...


ওই সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে যুদ্ধ বা সংঘাতের প্রসঙ্গ তুললেও পোপ ফ্রান্সিস নির্দিষ্ট করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেননি। অনেকেই মনে করছেন, পোপ কি তা তা হলে রাশিয়ার সমালোচনা করলেন? সেটা অবশ্য স্পষ্ট হল না।


গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ অভিযানের প্রথম পর্যায়েই পোপ সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন। ইউক্রেনীয়রা তখন অভিযোগ তুলেছিলেন, আর্জেন্টিনা-বংশোদ্ভূত এই পোপ রাশিয়াকে সরাসরি দোষারোপ না করে আসলে সতর্ক মন্তব্য করছেন মাত্র! তিনি গা বাঁচাচ্ছেন। যাই হোক, পরে অবশ্য পোপ রুশ সেনাদের কর্মকাণ্ডকে 'নৃশংস' বলে উল্লেখ করেন এবং এর নিন্দাও করেন।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)