নিজস্ব প্রতিবেদন : দ্বিতীয়বার গর্ভবতী হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা। শুনতে অবাক লাগলেও, প্রকাশ্যে এসেছে এমনই একটি ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাড়ির জন্য টাকার প্রয়োজন ছিল। সেই কারণেই সঙ্গী ওয়ারডেল জেসপারের সঙ্গে আলোচনার পর সারোগেট মাদার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেসিকা অ্যালেন। এরপরই ২০১৬-র এপ্রিলে এক চিনা দম্পতির সন্তানকে গর্ভে ধারণ করেন জেসিকা। ৬ সপ্তাহ পর আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা যায়, জেসিকার গর্ভে রয়েছে আরও একটি ভ্রূণ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, প্রতিস্থাপিত ভ্রূণই দু'ভাগে ভেঙে গেছে। ফলে 'যমজ সন্তান'-এর জন্ম দিতে চলেছেন জেসিকা।


এরপর গত ডিসেম্বরে দুই শিশুর জন্ম দেন জেসিকা। চুক্তি অনুযায়ী জন্মের পরই দুই শিশুকে চিনা দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেসিকা জানিয়েছেন, প্রথম অবস্থায় তিনি নিজেও ভেবেছিলেন 'যমজ সন্তানেরই' জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু ছবি দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। দুজনের গায়ের রং ছিল আলাদা। মুখের আদলেও কোনও মিল ছিল না। জন্মের এক মাস পর চিনা মহিলার কাছ থেকে সদ্যোজাতদের ফের একটি ছবি পান জেসিকা। যেখানে স্পষ্ট হয় দুই শিশুর মধ্যে অনেকখানি পার্থক্য রয়েছে।


এরপরই ডিএনএ পরীক্ষায় ধরা পড়ে আসল ঘটনা। একটি শিশুর ডিএনএ-র সঙ্গে মিলে যায় চিনা দম্পতির ডিএনএ। কিন্তু অপর শিশুর ডিএনএ মিলে যায় জেসিকা-জেরপারের সঙ্গে। অর্থাত্ জেসিকার গর্ভে প্রতিস্থাপিত ভ্রূণের সঙ্গে একইসঙ্গে বেড়ে উঠেছে তাঁদের নিজের সন্তানও।


শুনতে অদ্ভুত লাগলেও চিকিত্সাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ঘটনাকে বলা হয় 'সুপারফিটেশন'। সুপারফিটেশনের ক্ষেত্রে গর্ভবতী অবস্থায় দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের ঘটনা ঘটে। জরায়ুর মধ্যে একইসঙ্গে বেড়ে উঠতে থাকে দু'টি ভ্রূণ। জেসিকা-অ্যালেনের ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে। চিকিত্সাশাস্ত্রের ইতিহাসে এই ঘটনা খুবই বিরল। এখনও পর্যন্ত মাত্র ১০টি এরকম ঘটনার কথা জানা গিয়েছে।


আরও পড়ুন, 'দেবদূত রাহুল চেয়েছিলেন তাঁর সাহায্যের কথা গোপনই রাখি'