নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও জটিল হতে চলেছে ভারত-চিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক! মঙ্গলবার এক বার্তায় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং নিজের সেনার উদ্দেশে জানিয়েছে, দেশের সার্বভৌমত্ব বজায় রাখতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রশিক্ষণের উপর জোর দেওয়ার কথা জানান তিনি। ভারতের নাম না উল্লেখ করলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে নয়া দিল্লির উদ্দেশ্যেই শি জিনপিং কড়া বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বদানুবাদ লক্ষ্য করা গিয়েছে ভারত এবং চিন সেনার মধ্যে। উত্তেজনা তৈরি হয়েছে দুই দেশের সীমান্তের তিনটি সেক্টরেই। ওয়েস্টার্ন সেক্টরে লাদাখে রাস্তা তৈরি নিয়ে আপত্তি তোলে চিন। অন্যদিকে লাদাখের প্যাঙ্গং লেক, উত্তর সিকিম সীমান্তে ভারতীয় সেনা এবং পিপল’স লিবারেশন আর্মির নিরাপত্তারক্ষীর মধ্যে মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।


কমিউনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান তথা চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পিপলস লিবারেশন আর্মি এবং পিপলস আর্মি ফোর্সের বৈঠকে বার্তা দেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তার স্বার্থে জটিল পরিস্থিতিকে শক্তহাতে মোকাবিলা করতে হবে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি, প্রশিক্ষণ বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।


দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন নৌসেনার নজরদারি বাড়ানোয় চাপে রয়েছে বেজিং। একেই করোনাভাইরাস নিয়ে বাকযুদ্ধে লিপ্ত চিন এবং আমেরিকা। তার উপর নতুন করে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছে শি জিনপিংকে। এই পরিস্থিতিতে চিনা প্রেসিডেন্টের বার্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।


আরও পড়ুন- Covid-19-এ রক্ষে নেই, এবার ভারতে Banana Covid হানার আশঙ্কা


গোটা বিষয়টি নজরে রাখছে সাউথ ব্লকও। বুধবার, সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। উপস্থিত ছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং তিন সামরিক বাহিনীর কর্তারা। সূত্রে খবর, কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না ভারতীয় সেনা বাহিনী।