জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাকিস্তানে বিধ্বংসী বন্যার কারণে লাহোর এবং পঞ্জাব প্রদেশের অন্যান্য অংশে বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলের দামের ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যেই পাকিস্তান সরকার ভারত থেকে টমেটো এবং পেঁয়াজ আমদানি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এখানকার বাজারের ব্যবসায়ীদের সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। লাহোর বাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ‘রবিবার, লাহোরের বাজারে প্রতি কেজি টমেটো এবং পেঁয়াজ যথাক্রমে প্রায় ৫০০ এবং ৪০০ টাকায় পাওয়া জাচ্ছিল। যদিও, রবিবারের বাজারে দুটি পণ্যই নিয়মিত বাজারের দামের তুলনায় প্রতি কেজি ১০০ টাকা কম দামে পাওয়া গিয়েছে’। তিনি আরও বলেন যে আগামী দিনগুলিতে পণ্যের দাম আরও বাড়বে কারণ বন্যার কারণে বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং দক্ষিণ পঞ্জাব থেকে সবজির সরবরাহ প্রভাবিত হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী দিনগুলিতে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম ৭০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। একইভাবে, আলুর দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে’।


বেলুচিস্তান ও সিন্ধুতে বন্যায় হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার কারণে বাজারে সবজির সরবরাহ কম। জানা গিয়েছে যে ফেডারেল সরকার ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং টমেটো আমদানির কথা বিবেচনা করছে। বর্তমানে, লাহোর এবং পঞ্জাবের অন্যান্য শহর তোরখাম সীমান্ত দিয়ে আফগানিস্তান থেকে টমেটো এবং পেঁয়াজের সরবরাহ আসছে।


লাহোর মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি শেহজাদ চিমা জানিয়েছেন, ‘তোরখাম সীমান্তে প্রতিদিন একশ কন্টেনার টমেটো এবং প্রায় ৩০টি কন্টেনার পেঁয়াজ আসছে। এর মধ্যে প্রতিদিন দুটি কন্টেনার টমেটো এবং একটি কন্টেনার পেঁয়াজ লাহোর শহরে আনা হচ্ছে এবং কন্টেনারের সংখ্যা একেবারেই কম’।


তিনি আরও বলেন, বন্যার কারণে বাজারে ক্যাপসিকাম অথবা গোলমরিচের মতো সবজিরও অভাব রয়েছে। চিমা বলেন, সরকার শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং টমেটো আমদানি করবে।


আরও পড়ুন: International Day against Nuclear Tests: আজ থেকেই বন্ধ হোক যে কোনও ধরনের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা


তিনি বলেন, ইরান থেকে বালুচিস্তানের তাফতান সীমান্ত দিয়ে সবজি আমদানি কার্যকর নয় কারণ ইরান সরকার তার আমদানি এবং রফতানির উপর কর বাড়িয়েছে।


তিনি বলেন, বন্যায় সিন্ধুর অধিকাংশ বাগান ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনে খেজুর এবং কলার দামও বাড়বে। বন্যার কারণে বালুচিস্তান অথবা অন্যান্য এলাকা থেকে আপেলের সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে।


কর্মকর্তাদের মতে, বন্যায় এখনও পর্যন্ত ১,০৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিন্ধুতে ৭৪ জন, খাইবার পাখতুনখাওয়াতে ৩১ জন, গিলগিট-বালটিস্তানে ছয়জন, বালুচিস্তানে চারজন এবং পঞ্জাবে একজনের মৃত্যু হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)