নিজস্ব প্রতিবেদন- ফ্রান্সের মন্ত্রী জেরাল্ড দামারলিন বলেছেন, তাঁদের দেশ ইসলামিক মতাদর্শের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ফলে ফ্রান্সে আগামী সময়ে আরো অনেক আক্রমণ হতে পারে। তাঁর কথাই মিলে যাচ্ছে। এবার ফ্রান্সের লিঁও শহরে জঙ্গি হামলা হল। একটি গির্জার যাজকের উপর হামলা চালাল এক জঙ্গি। শট গান থেকে গুলি করে পালিয়েছে সেই জঙ্গি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেই যাজক মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। নাইস শহরে নটরডেম গির্জার বাইরে তিনজনকে মুণ্ডচ্ছেদ করে খুন করেছিল বছর একুশের এক জঙ্গি। তার পরই গোটা ফ্রান্সে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছিল কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উপাসনা শেষে গির্জা থেকে বেরচ্ছিলেন সেই যাজক। তখনই ওই জঙ্গি তাঁর উপর হামলা চালায়। সেই যাজক গ্রিক। শট গান থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে সেই জঙ্গি পালিয়ে যায়। তার খোঁজে গোটা শহরে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো জানিয়েছিলেন, গোটা দেশে যে সব জায়গায় ভিড় বেশি সেখানে সোনা মোতায়েন করা হবে। এমনকী উপাসনালয় ও স্কুলের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হবে। বাস্তবে তেমনটাই হয়েছে। তার পরও কীভাবে এমন হামলা হল, তার উত্তর নেই পুলিসের কাছে। সেই যাজকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিত্সকরা।


আরও পড়ুন-  ''মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করে যাব'', পয়গম্বরের কার্টুন প্রসঙ্গে ফরাসী প্রেসিডেন্ট


শরণার্থীদের প্রতি দয়াশীল মনোভাব দেখিয়ে এখন চরম মূল্য চোকাতে হচ্ছে ফ্রান্সকে। ফ্রান্সের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, শরণার্থীর ছদ্মবেশে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে প্রবেশ করেছে একাধিক জঙ্গি। মধ্য প্রাচ্যের একাধিক ইসলামিক রাষ্ট্র থেকে সেইসব জঙ্গিরা ফ্রান্সে নাশকতার উদ্দেশে ঢুকেছে। নাইস শহরে গির্জার বাইরে তিনজনকে হত্যাকারী জঙ্গিও শরণার্থী সেজে তিউনিশিয়া থেকে ফ্রান্সে ঢুকেছিল বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা।