ওয়েব ডেস্ক: ব্রিকস সম্মেলনে চিনা প্রেসিডেন্ট জিন পিং-এর সঙ্গে বৈঠক সেরে এবার মায়ানমারে পৌঁছলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মায়ানমারে পৌঁছে ট্যুইটও করেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতের সঙ্গে কীভাবে মায়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পাশাপাশি সু চি-র সঙ্গে বিতর্কিত রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও মোদী আলোচনা করবেন বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মায়ানমার পৌঁছতেই তাঁকে স্বাগত জানান মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন কও। এরপর দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে একসঙ্গে গার্ড অফ অনারও দেওয়া হয়।   


মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচারের চলছে বলে অভিযোগ উঠছে দীর্ঘদিন ধরে। সে বিষয়েই সু চি-র সঙ্গে মোদীর আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সন্ত্রাসবাদ দমন নিয়েও  আলোচনা হবে। ভারতের সঙ্গে মায়ানমারের সম্পর্ক এবং দুই দেশের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার জন্য এটাই মোদীর প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। ফলে, এই সফর নিয়ে কূটনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চর্চা।


জানা যাচ্ছে,গত অক্টোবর থেকে মায়ানমারে বেড়ে চলা অত্যাচারে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪০০ রোহিঙ্গা মুসলিম। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জ বারবার সে দেশকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে বললেও, সেভাবে কোনও ফল মেলেনি। প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, সে বিষয়েও মোদীর সফরে আলোচনা হতে পারে।


সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু জানিয়েছেন, মায়ানমার থেকে যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতে আসছেন, তাঁদের ফেরত পাঠানো হবে। রোহিঙ্গারা ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করছে বলেও অভিযোগ করেছেন রিজিজু। ভারত থেকে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গাকে বের করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছ।