নিজস্ব প্রতিবেদন- জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকে জ্বলছে আমেরিকা। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দিক দিকে। বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে গর্জে উঠছে মানুষ। আর এই বিক্ষোভে কৃষ্ণাঙ্গদের সঙ্গে শ্বেতাঙ্গরাও অংশ নিচ্ছেন। তবে বিক্ষোভ এবার ধীরে ধীরে হিংসার আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই বেগতিক যে এবার আমরিকার আবিষ্কারক ক্রিস্টোফার কলম্বাসকেও ছেড়ে কথা বলছে না বিক্ষোভকারীরা। আমেরিকার ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে  কলম্বাসের একটি মৃর্তির মাথা ভেঙে দিয়েছে বিক্ষোবকারীরা। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে কলম্বাসের একটি ভাস্কর্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা আমেরিকায় ক্ষোভের আগুন বাড়ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৪৯২ সালের ১২ অক্টোবর আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন ইতালির নাবিক ক্রিস্টোফার কলম্বাস। স্পেনের তৎকালীন রানির অর্থানুকূল্যে আমেরিকায় পৌঁছেছিলেন তিনি। তবে আমেরিকার এক শ্রেণীর মানুষ মনে করেন, স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমেরিকার আবিষ্কার করেছিলেন কলম্বাস। তাঁকে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদের হোতা এবং আদিবাসীদের গণহত্যার অগ্রদূত বলে মনে করেন আমেরিকার অনেকেই। জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে আমেরিকায় যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে তাতে নতুন করে কলম্বাস বিরোধিতা মাথা চাড়া দিয়েছে। আর তারই প্রতিফলন মূর্তি ভাঙার ঘটনা। এর আগে ওয়াশিংটন ডিসিতে মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে কালি ছিটিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। গ্রাফিটি আঁকা হয়েছিল গান্ধীমূর্তিতে। এবার বোস্টন শহরের আটলান্টিক এভিনিউয়ের ক্রিস্টোফার কলম্বাস পার্কে থাকা মূর্তির মাথা ভেঙে ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়ে রাখা হল।


আরও পড়ুন- বাংলাদেশের ইসলামি গুরুদের সাহায্যে ভারতে বড়সড় Lone wolf হামলার ছক কষছে আল কায়দা


টনাস্থলটিকে ‘ক্রাইম সিন’ হিসেবে চিহ্নিত করে রেখেছে পুলিস। বোস্টনের মেয়র মার্টি ওয়ালস বলেছেন, বিক্ষোভের এমন ধরণ নিন্দনীয়। দোষীদের শাস্তি পেতে হবে। তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা মূ্তিটি আপাতত পার্ক থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। এর আগেও একাধিকবার এই পার্কে থাকা কলম্বাসের মূ্র্তিটি আক্রান্ত হয়েছিল। ২০০৬ সালে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল এই মূর্তির মাথা। এর পর ২০১৫ সালে মূর্তির গোড়ায় লিখে দেওয়া হয়েছিল 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস'। বিক্ষোভকারীদের একাংশ জানিয়েছেন, ভার্জিনিয়া, বোস্টনের মতো জায়গাগুলি থেকেই বর্ণবাদের সূচনা হয়েছে। তাই ওইসব জায়গায় ব্যাপক বিক্ষোভ চলবে।