ওয়েব ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ফার্গুসন। গতকাল কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউনের হত্যার দায় থেকে শ্বেতাঙ্গ পুলিস অফিসারকে বেকসুর খালাস করেছিল গ্রান্ড জুরি। এই রায় ঘোষণার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ফার্গুসনের মিসৌরি। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। গতকাল রাতেই উত্তেজিত জনতা লুঠ করে বেশ কিছু দোকান। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কিছু বিল্ডিংয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার রাত থেকেই বস্তুত চলছিল প্রতিবাদ বিক্ষোভ। মঙ্গলবার তা আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।


পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য শতাধিক অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড বাহিনী সেন্ট লুইসের শহরতলি অঞ্চল গুলিতে পাঠানো হয়েছে। ফার্গুসনে সিটি হলের সামনে একটি পুলিসের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। টিয়ার গ্যাস চালায় পুলিস। তাতে আরও ক্ষেপে যায় জনতা।


অন্যদিকে, অবশেষে মুখ খুললেন অভিযুক্ত শ্বেতাঙ্গ পুলিস অফিসার ড্যারেন উইলসন। জাতীয় টেলিভিশনে তিনি জানিয়েছেন ব্রাউনকে হত্যা করে তিনি নাকি আসলে কোনও অপরাধই করেননি। উইলসনের দাবি তিনি শুধু নিজের কাজটা করেছিলেন।


''রাস্তা কাদের, আমাদের'', ''গণতন্ত্রের আসল রূপটা আসলে এটাই'', ''হাত তোল, গুলি কোর না', ফার্গুসনের রাস্তার মোড়ে, অলিতে গলিতে এখন শুধু ভেসে বেড়াছহে এই স্লোগানগুলো।


সবে এই প্রতিবাদ শুধু ফার্গুসনে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে সারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই।


চলতি বছরের অগাস্টে ডারেন উইলসন নামের  পুলিস অফিসারের গুলিতেই প্রাণ হারিয়েছিল মিসৌরির নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর মাইকেল ব্রাউন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণ বৈষম্যের কদর্য রূপটা আরও একবার প্রকাশ পেয়েছিল সারা বিশ্বের কাছে।


মিসৌরির অধিকাংশ বাসিন্দা কৃষ্ণাঙ্গ হলেও ক্ষমতায় আসীন শ্বেতাঙ্গরাই। এই রায় অঞ্চলের বর্ণবৈষম্য মূলক উত্তেজনাকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিল।


গ্র্যান্ড জুরিদের রায়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ব্রাউনের পরিবার।