ওয়েব ডেস্ক: ছোটবেলায় ইতিহাস বইয়ে ক্রীতদাস প্রথার কথা পড়েছিলাম। সেখানে মানুষ ছিল মানুষের সম্পত্তি। আর সেই সম্পত্তির সামান্যতম ভুলে তাকে যেমন ইচ্ছা শাস্তি দেওয়ার অধিকার ছিল তার মালিকের। আজ আমরা সেসব দিনের থেকে অনেক এগিয়ে গেছি ঠিকই কিন্তু কোথাও কোথাও সেই এগিয়ে যাওয়া শুধু বছরের সংখ্যায়। তাই সেখানে আজও মানুষকে একটু নিজের ইচ্ছে মতো বাঁচতে চাওয়ার অপরাধে ভোগ করতে হয় জনসমক্ষে বেত্রাঘাত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী শারিয়া আইন হল সেই আইন যেখানে লেখা রয়েছে সহবাস থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া, প্রার্থনার সময় ইত্যাদি সম্পর্কিত নানা আইন। যে আইন ভাঙলে গোটা এলাকার সামনে মঞ্চ বানিয়ে সকলকে সাক্ষী রেখে বেতের বাড়ি মেরে শাস্তি দেওয়া হয় অপরাধীকে।  মানুষের সবাধীনতাকে বেঁধে রাখতে ইন্দোনেশিয়ায় অত্যন্ত 'নিষ্ঠা'-র সঙ্গে পালন করা হয় এই আইন। তাই নিষ্ঠুরভাবে এই আইনেরই বলি হতে হল এক মহিলাকে। তার অপরাধ বিয়ের আগেই তার ভালবাসার মানুষটির সঙ্গে সহবাস করেছেন। অপরাধের খবর 'বিচারক'দের কানে আসতেই রাস্তার ওপর তৈরি হয় মঞ্চ। মহিলাকে এনে বসানো হয় সেই মঞ্চে। তারপর চলতে থাকে বেতের আঘাত। যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে বোরখার কাপড় কামড়ে ছিঁড়ে ফেলে। তবুও চলতে থাকে শাস্তি প্রদান। শাস্তি পর্ব শেষ হলে মহিলা জ্ঞান হারান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুদিন আগে একই অপরাধে এই শাস্তি হয়েছিল এক পুরুষেরও।