নিজস্ব প্রতিবেদন: মুর্শিদাবাদের কাছে সীমান্তের ওপারেই খোঁজ মিলল জঙ্গি ডেরার। র‍্যাবের অভিযানে ৩ জঙ্গি নিহত হলেও অনেকেই পালিয়ে গেছে বলে সন্দেহ। তারা যাতে ভারতে ঢুকতে না পারে সেজন্য মালদা-মুর্শিদাবাদ সীমান্তে জারি হয়েছে হাই-অ্যালার্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে আল কায়দা মডিউলের পর্দা ফাঁস। পর পর জঙ্গিদের গ্রেফতারির মাঝেই নয়া মোড়। ওপার বাংলা থেকে এপারে এসে আল-কায়দা জঙ্গিদের নাশকতার ছক ফাঁস করেছে কলকাতা পুলিসের এসটিএফ। এবার সীমান্তের কাছে নব্য জেএমবি জঙ্গিদের ঘাঁটির হদিশ পেল নিরাপত্তা বাহিনী।


এ পারে মুর্শিদাবাদের লালগোলা। একটু দূরে সীমান্ত পেরোলেই পদ্মা। বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আলাতুলি চর। এখানেই লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের খোঁজে হানা দেয় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন। ঢাকায় ধৃত জেএমবি জঙ্গিকে জেরা করে আলাতুলি চরের জঙ্গি ডেরার খোঁজ মেলে। ভোররাতে শুরু হয় অভিযান। আরও পড়ুন- হামলার কৌশল বদলাচ্ছে জঙ্গিরা, মাহির গ্রেফতারির পর গোয়েন্দাদের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য


নির্জন চরের একটি বাড়িতে লুকিয়েছিল জঙ্গিরা। র‍্যাবের দাবি, তাদের মাইকে আত্মসমর্পণ করার কথা বলা হয়। না শুনে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় র‍্যাবও। কিছুক্ষণ পর বাড়িটিতে তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। লড়াই শেষে উদ্ধার হয় ৩ জঙ্গির ছিন্নভিন্ন দেহ।


পদ্মার চরের ওই বাড়ির মালিক ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের জেরা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, নিশ্চিন্তে নাশকতার ছক কষতেই নির্জন চর এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেয় জঙ্গিরা। পদ্মার চরে পরিযায়ী পাখি দেখার নাম করে বাড়ি ভাড়া নেওয়া হয়। এই জঙ্গি ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩টি আইইডি, পিস্তল, ডেটোনেটর, গ্রেনেড, পাওয়ার জেল-সহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম। জঙ্গিরা সকলে জেএমবির আত্মঘাতী বাহিনীর সদস্য বলে জানা গেছে। তবে, দশ-বারো জন জঙ্গি পালিয়ে যায় বলেও র‍্যাবের সন্দেহ।


বাংলাদেশ পুলিসের সন্দেহ, রাজশাহীতে নাশকতার ছক ছিল জঙ্গিদের। তবে সীমান্তের কাছে ঘাঁটি গাড়ায় এপারেও হামলার ছক উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। পালাতে গিয়ে জঙ্গিরা যাতে ভারতে ঢুকতে না পারে, সেজন্য সীমান্ত জুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বিএসএফ। বিজিবি-র পক্ষ থেকে বিএসএফকে সতর্ক করা হয়েছে। আরও পড়ুন- কলকাতা এসটিএফের জালে আনসারউল্লা বাংলার জঙ্গি, নেপাল সীমান্তে পাকড়াও আফতাব