নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল বিতর্ক ফ্রান্স এবং ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইমানুয়েল মাকরেঁর সরকার। রবিবার ফ্রান্সের জুনিয়র বিদেশমন্ত্রী জিন-ব্যাপটিস্ট লেমঁ জানিয়েছেন, রাফাল বিষয়ে প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের মন্তব্যে দুই দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এতে কোনও দেশের সুবিধা হয়নি। এমনকি ফ্রান্সও লাভবান হয়নি। ওলাঁদের নাম না করে লেমঁ-র আরও অভিযোগ, যিনি কোনও পদে না থেকে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেন এবং তাঁর মন্তব্যের জেরে দুই দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা কোনওভাবেই কাম্য নয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ‘ছোটো মানুষ, দূরদৃষ্টতার অভাব রয়েছে’ মোদী সরকারকে কটাক্ষ ইমরানের


প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এই প্রথম এমন কড়াকড়ি বার্তা শোনা গেল মাকরেঁর মন্ত্রক থেকে। উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর ওলাঁদ এক ফরাসি জার্নালে জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিমান সংস্থা দ্যাসোকে অনিল আম্বানির ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিজের সুপারিশ জানিয়েছিল ভারত সরকার। যে অভিযোগ প্রথম থেকেই করে আসছে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দল। ওলাঁদের এই মন্তব্য কার্যত পরমাণুর মতো বিস্ফোরণ ঘটে মোদী সরকারের অন্দরে। বিতর্ক দানা বাঁধতে ড্যামেজ কন্ট্রলে নামে ফ্রান্স সরকার এবং ফরাসি সংস্থা দ্যাসো। ফ্রান্স সরকারের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, অংশীদার সুপারিশে তাদের কোনও ভূমিকা ছিল না। পাশাপাশি নিজেদের পছন্দমতোই অংশীদার নির্বাচন করেছে বলে দ্যাসো জানায়।


আরও পড়ুন- ভারত বৈঠক বাতিল করায় অন্দরেই সমালোচিত হচ্ছেন ইমরান


ফ্রান্সের তরফে ইতিবাচক বার্তা আসার পরও রাফাল ইস্যু নিয়ে সরগরম থাকে দেশের রাজনীতিতে। বিজেপিকে তুলোধনা করছে কংগ্রেস। এরপর ফের ওলাঁদের মুখেই শোনা যায়, দ্যাসো এবং অনিল আম্বানি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। ওলাঁদের এই মন্তব্যের পরও বিতর্কের রেশ অব্যাহত রয়েছে। এই পরিস্থিতি ভারত-ফ্রান্সের মধ্যে    সুদূরপ্রসারী কূটনৈতিক সম্পর্কে চিড় ধরার আশঙ্কা করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও।