ওয়েব ডেস্ক: একই অঙ্গে এত রূপ। বরং বলা ভাল বহুরূপী। কখন সবুজ, কখনও লাল। চিনের শ্যাংজি প্রদেশের রংমিলান্তির লেকে ভিড় জমাচ্ছে হাজারে হাজারে মানুষ।  বিজ্ঞানীর বলছেন শৈবালের কারসাজিতে রং বদলাচ্ছে লেক। অত কিছু ভাবছেন না পর্যটকরা, তাঁরা ব্যস্ত লেকের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হঠাতই জলের রং বদল। নীল থেকে লেকের একটা অংশের জল হয়ে গেল লাল। সেই থেকে চিনের শ্যাংজি প্রদেশের ওই লবন হৃদ, পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে। সম্প্রতি চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম রক্তিম হৃদের ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, লেকের একটা অংশের জল লাল। অন্য অংশের জল সবুজ। লেকের বুক চিরে ছুটে গেছে এক্সপ্রেসওয়ে। কিন্তু কেন এই রং বদল?


আরও পড়ুন- ভিডিও প্রকাশ করে পাক মিডিয়ার দাবি খুন করা হয়েছে ৮ ভারতীয় সেনাকে!


CCTV সূত্রে খবর, লেকের জলের রঙ বদলের অন্যতম কারণ সমুদ্র শৈবাল। শ্যাংজি প্রদেশের ইউনচেং শহরের লবন হৃদের জল সমুদ্র শৈবালজাত উদ্ভিদে ভরে গিয়েছে।


CCTV-র দাবি, ছোট ছোট সমুদ্র শৈবাল ওরফে ডিউনালিয়াল্লা সালিনা একটা নির্দিষ্ট সংখ্যায় পৌছে গেলেই লবন হৃদের একটা অংশের জল লাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে উষ্ণতার পারদ যত চড়ে, লাল রঙের স্থায়িত্ব তত বাড়ে বলেই দাবি  বিজ্ঞানীদের।


মূলত স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশেই বেঁচে থাকে সমুদ্র সৈবাল। সবুজ রঙের হলেও, আলো এবং উত্তাপের সংস্পর্শে লাল রঙে পরিণত হয় সমুদ্র শৈবাল। কারণ পাতার মধ্যে থাকা লাল-কমলা পিগমেন্ট ক্যারোটিন, উদ্ভিদকে সূর্যের বিকিরণ থেকে বাঁচায়।


আরও পড়ুন- এবার পাকিস্তানে নিষেধাজ্ঞা বলিউড সিনেমায়


ইউনচেং শহরের এই লেক চিনের ডেড সি বা মৃত সমুদ্র নামে পরিচিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতি বছর একটা বিশেষ সময়ে লেকের জলের রঙ বদলায়। তবে কেন হৃদের জল দু দিকে দুরকম হয়, তার কোনও ব্যাখ্যা নেই বিজ্ঞানীদের কাছেও।


ব্যাখ্যা থাকুক বা না থাকুক, তাতে কিন্তু চিনের মানুষের খুব একটা মাথাব্যথা নেই। হৃদের বদলে যাওয়া রং দেখতে প্রতিবছর ভিড় করেন দেশ বিদেশের পর্যটকরা।