Russian Military Strategy: ধর্ষণই অস্ত্র! ইউক্রেনে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই অস্ত্র প্রয়োগ করেছে রাশিয়া...
Russian Military Strategy: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যে যৌন-অপরাধ ঘটেছে, তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি হয়েছে। তা থেকে জানা গিয়েছে, একশোরও বেশি যৌন-অত্যাচারের অভিযোগ নথিভুক্ত রয়েছে। স্তম্ভিত বিশ্ব!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যুদ্ধে নানা রকম অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। সেই সব চমকপ্রদ অস্ত্র নিয়ে পরে নানা আলোচনা-চর্চাও হয়। অস্ত্রের ধ্বংসক্ষমতা নিয়ে, তার মারণক্ষমতা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যে-ধরনের অস্ত্রের কথা সম্প্রতি জানা গিয়েছে, তার কথা শুনে হতবাক বিশ্ব। ইউক্রেন যুদ্ধে রুশসেনারা নাকি ধর্ষণকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে! নিগৃহীতদের মধ্যে রয়েছে চার বছরের বাচ্চা থেকে ৮২ বছরের বৃদ্ধা! ইউক্রেন এই অভিযোগ আগেই জানিয়েছিল, এবার রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টেও প্রায় সেই কথাই বলা হল। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমীলা প্যাটেন জানিয়েছেন, ধর্ষণকেই একরকম রণকৌশল হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। এজন্য রুশ সেনাদের যৌনউদ্দীপক ওষুধও দেওয়া হয়েছে, এখনও দেওয়া হচ্ছে। গত আট মাসে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের অসংখ্য ছবি ভেসে উঠেছে মিডিয়ায়। রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে মৃতদেহ। হাত-পা পিছমোড়া করে বাঁধা। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, সেই সব মৃতদেহ পরীক্ষা করে এবং পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের বয়ান শুনে ক্রমশ জানা গিয়েছে যুদ্ধের নেপথ্যে ঘটে চলা এই ঘৃণ্য ব্যাপার।
রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেয়েদের দীর্ঘদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হচ্ছে, বাচ্চা ছেলেদেরও ধর্ষণ করা হচ্ছে, পুরুষদের যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া হচ্ছে। মেয়েদের বয়ানেই শোনা গিয়েছে, রুশ সেনাদের ভায়াগ্রা দেওয়া হয়েছে। এইসব ঘটনা থেকে ক্রমশ স্পষ্ট হয়েছে যে, এই ধর্ষণ ব্যাপারটা ওদের রণকৌশল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে যে ধরনের যৌন-অপরাধ ঘটেছে, তা নিয়ে ওই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তাতে একশোরও বেশি যৌন অত্যাচারের অভিযোগ নথিভুক্ত রয়েছে।