নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে ক্ষমতা ধরে রাখলেন রিচেপ তাইপ এর্দোগান। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এর্দোগান। ৩১ শতাংশ ভোট পাওয়া নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহারেম ইনজেকে হারিয়ে ফের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদে বসতে চলেছেন তিনিই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৭ সালে ‘বিতর্কিত’ গণভোটের পর ৬৪ বছর বয়সী এর্দোগানের এই জয় নজিরবিহীন বলে মনে করছে সে দেশের রাজনৈতিক মহল। এর্দোগানের এই জয়ের পর প্রধানমন্ত্রীর পদের  বিলুপ্তি কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। প্রেসিডেন্টের হাতেই রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা থাকার পক্ষে এর্দোগান। এই জয়ের পর আগামী পাঁচ বছর যে কার্যত একনায়কতন্ত্র শাসন ব্যবস্থা চলবে তুরস্কতে, এমনটাই দাবি করছেন বিরোধীরা। জানা যাচ্ছে, চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে আগামী শুক্রবার।


আরও পড়ুন- সারা রাত রাস্তায় ডানা মেলে চড়ে বেড়ালেন সৌদি মহিলারা


২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এর্দোগান প্রধানমন্ত্রীর পদ সামলেছেন। ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট হন তিনি। দীর্ঘ শাসনকালে তিনি যেমন অর্থনৈতিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেছেন, তেমনই তাঁর বিরুদ্ধে নাগরিকদের স্বাধীনতার হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। প্রায় ১.৬০ লক্ষ বিক্ষোভকারীকে কারাবন্দি করেন তিনি। এমনকী এর্দোগানের বিরুদ্ধে মেরুকরণের রাজনীতিরও অভিযোগ উঠেছে।


আরও পড়ুন- শিশুদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে অসুবিধা হবে না, জানাল ট্রাম্প প্রশাসন


সাংবিধানিক ক্ষমতা নতুন করে সাজাতে ২০১৭ সালে গণভোটের আয়োজন করেন এর্দোগান। প্রেসিডেন্টের পছন্দের ১৮টি প্রস্তাবিত আইনে রায় দেয় তুরস্কের নাগরিক। এর ফলে সংসদীয় পরিকাঠামোর ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের হাতের মুঠোয় চলে আসে। প্রধানমন্ত্রীর পদ বিলুপ্ত করা হয়। সংসদের ৫৫০টি আসন বাড়িয়ে ৬০০ করা হয়।


আরও পড়ুন- "দেশকে সর্বনাশের মুখে ঠেলে দিতে সব শরণার্থীদের ঠাঁই দিতে পারি না"


উল্লেখ্য, সরকারি আধিকারিক, মন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়োগ থেকে রাজ্যের জরুরি অবস্থা জারি করার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে এর্দোগান। ফলাফল বেরনোর পর এর্দোগান বলেন, “এই জয় ৮ কোটি নাগরিকের জয়।”