নিজস্ব প্রতিবেদন: রাফাল বিতর্কে নতুন করে ‘তিতলি’ আছড়ে পড়ল ভারতের মাটিতে। রাফাল প্রস্তুতকারী দ্যাসোঁ-র দুই ইউনিয়ন পৃথকভাবে নথি প্রকাশ করে জানিয়েছে, রিলায়্যান্স সংস্থাকে অংশীদারিত্ব পাইয়ে দিতে ‘বাধ্যতামূলক’ শর্ত রাখে ভারত। প্রথমে এমনই সুর শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাঁদের গলায়। তিনি দাবি করেছিলেন, ফ্রান্স এবং দ্যাসোঁ সংস্থার কাছে রিলায়্যান্স সংস্থার নাম সুপারিশ করে মোদী সরকার। যদিও পরে এই মন্তব্য থেকে সরে আসেন ওলাঁদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- এবার ভারতে তৈরি যন্ত্রাংশে ভর করেই উড়বে মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-১৬


ফ্রান্সের বিমান বিষয়ক ওয়েবসাইট প্রোটেইল-অ্যাভিয়েশন-এ প্রকাশ পায় সিজিটি (কনফেডারেশন জেনেরেল দু ট্র্যাভেল) ইউনিউনের একটি নথি। এই নথি প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন অবসরপ্রাপ্ত বায়ুসেনা অফিসার ও গবেষক ইভস প্যাগট। তিনি দাবি করেছেন, ফ্রান্স এবং দ্যাসোঁ-র কাছে অনিল অম্বানির সংস্থার নাম সুপারিশ করে মোদীর মন্ত্রক। ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ নিয়ম অনুযায়ী অফসেট বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাধ্যতমূলক ভাবে রিলায়্যান্সের নামই প্রস্তাব রাখা হয়। অন্য একটি ইউনিয়ন সিএফডিটি-র তথ্যও কার্যত একই দাবি করছে।



উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী-সহ অন্যান্য বিরোধীদের গোড়া থেকেই দাবি, অসত্ উপায়ে রিয়াল্যান্স সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলাঁদ যখন একই অভিযোগ করেন, কার্যত আগুনে ঘি পড়ে দেশের রাজনীতিতে। তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। ওলাঁদের মন্তব্যে বিপাকে পড়ে বিজেপি সরকার। যদিও তড়িঘড়ি ফ্রান্সের ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার এবং দ্যাসোঁ পৃথকভাবে বিবৃতি দিয়ে ওলাঁদের দাবিকে খারিজ করে দেয়। দ্যাসোঁ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, ‘মেক ইন ইন্ডিয়ার’ নিয়ম অনুযায়ী অংশীদারিত্ব বাছার ক্ষেত্রে অবাধ স্বাধীনতা ছিল তাদের। নিজেদের পছন্দমতোই রিলায়্যান্স সংস্থাকে অংশীদারিত্ব দিয়েছে দ্যাসোঁ। উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর ফরাসি যুদ্ধবিমান সংস্থা প্রেস বিবৃতিতে ফের একই দাবি করে।


আরও পড়ুন- রিলায়েন্সের মতো ৩০ ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা পাকা হয়েছে, জানাল রাফাল নির্মাতা দাসোঁ


রাফাল বিতর্ক শেষেমেশ গড়ায় সুপ্রিম কোর্টেও। গত বুধবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বে গঠিত তৈরি তিন বিচারপতি বেঞ্চ কেন্দ্রের কাছে জানতে চেয়েছে কীভাবে কোন পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিমান কেনা হয়ছে তা আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে হবে। এর আগে দ্যাসোঁ-র দুই ইউনিয়নের বিস্ফোরক তথ্য নতুন করে বিতর্কে ইন্ধন জোগাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।