ওয়েব ডেস্ক: বাল্য বিবাহ বন্ধ করা। লেখাপড়া শিখে মেয়েদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে সরকারি সহযোগিতা। রাজ্যে ৪০ লক্ষেরও বেশি কন্যাশ্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পকে সেরার শিরোপা দিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। শুধু বাংলাই নয়, গোটা দেশের সরকারি পরিষেবায় তৈরি হল এক নতুন মাইলফলক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কন্যাশ্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রেন চাইল্ড। ২০১৩ সালে এই প্রকল্প শুরু হওয়ার পর বাংলার ছবিটাই বদলে গেছে। বাল্য বিবাহ, মেয়েদের স্কুল ড্রপ আউটের সংখ্যা নেমে গেছে এক ধাক্কায়। বহু জাতীয়, আন্তর্জাতিক পুরস্কারের পর এ বার স্বীকৃতি এল রাষ্ট্রসঙ্ঘের পাবলিক সার্ভিস ফোরামের মঞ্চেও।


রাষ্ট্রসঙ্ঘের আমন্ত্রণে নেদারল্যান্ডস সফর মুখ্যমন্ত্রীর। শুক্রবার হেগ-এ বিশ্ব জন পরিষেবা ফোরামে জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে বাংলার সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরলেন তিনি। কন্যাশ্রীদের কথা তাঁর মুখ থেকেই শুনল গোটা বিশ্ব।


বাল্যবিবাহ বন্ধ, উচ্চশিক্ষায় কন্যা সন্তানদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্য নিয়ে চার বছর আগে শুরু হয়েছিল পথ চলা। কন্যাশ্রী প্রকল্পে নগদ হস্তান্তর দুটি ভাগে করা হয়। প্রথমটি হল বছরে ৭৫০ টাকা বৃত্তি। ১৩ থেকে ১৮-র মধ্যে বয়স, অন্তত ক্লাস এইটে পাঠরতা এবং পারিবারিক আয় বছরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম হলে  এই সুযোগ পাওয়া যায়।  


দ্বিতীয়টি হল এককালীন ২৫ হাজার টাকা বৃত্তি। ১৮ থেকে ১৯-এর মধ্যে বয়স, এমন ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা বা খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকলে এই সুযোগ পেতে পারেন।


এই মুহূর্তে রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে ৪০ লক্ষ ৩১ হাজার জন। প্রকল্পের টাকা সরাসরি মেয়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ায় খরচের সিদ্ধান্ত তারাই নিতে পারে। তথ্য বলছে, কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হওয়ার পর রাজ্যে মেয়েদের স্কুল ড্রপ আউট ৫৬% কমে গেছে। বাল্যবিবাহ কমেছে ৩৩%।


গত বছর রাষ্ট্রসঙ্ঘের ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল কন্যাশ্রী। এ বার পাবলিক সার্ভিস ডে-তে, জন-পরিষেবা সম্মান। শুধু বাংলা নয়, কন্যাশ্রীর বিশ্বজয় আজ গোটা দেশের কাছেই এক নতুন মাইলফলক।